এনাম হাসান ।।
ইবরাহিম ওমর ইস্তাম্বুলের কুকুকসেকমেক এলাকার একটি হেফয বিভাগের ছাত্র। সুদূর সুদান থেকে এসেছে সে কুরআন হেফয করার জন্যে। তার ইচ্ছা, সে কুরআন শিখে দেশে গিয়ে মানুষকে কুরআন শেখাবে।
ইবরাহীম ওমর বলে, ‘হেফয শেষ করে আমি আমার দেশে ফিরে যাব। এখান থেকে যা শিখেছি তা আমার দেশবাসীকে শেখাব।’
সম্প্রতি তুরস্ক ৪০ জন সুদানি শিশুকে হেফয করানোর দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ইস্তাম্বুলের কুকুকসেকমেক এলাকার মুফতী অফিস ৯–২০ বছর বয়সী ৪০ জন সুদানি শিশুকিশোরকে কুরআন হেফজ ও তুর্কি ভাষা শেখার এই সুযোগ করে দেয়।
কুকুকসেকমেক এর মুফতী তামেল গণমাধ্যমকে বলেন,ইতিমধ্যে ১৫ জন কুরআন হেফজ কোর্স সম্পন্ন করে নিজ দেশে গিয়ে জনসাধারণকে কুরআন শেখানো শুরু করেছেন।
‘আমরা ৪-৫ বছর আগে সুদান ভ্রমণ করি। আমরা সেখানে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সাথে কুরআন শেখার ব্যাপারে কথা বলি। তারপর সুদানী শিশুদের আমাদের দেশে কুরআন শেখার জন্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করি। এ চার বছরে প্রায় ১৫ জনের মত ছাত্র কুরআন হিফজ করে তাদের দেশে ফিরে গেছে,’ বলেন মুফতী তামেল।
১৫ বছর বয়সী আহমেদ রাদার বলে, ‘তুরস্কে তার অনেক ভাল লাগছে। কুরআন হেফযের সুযোগ পেয়ে সে অনেক আনন্দিত।’
৯ বছর বয়সী ছাত্র ইসলাম আবদুল হাই। তার ইচ্ছা, সে বড় হয়ে ডক্টর হবে।
‘এখানে সবচেয় কম বয়সী ছাত্র আমি । আমি সবেমাত্র কুরআন শিখা শুরু করেছি। আমার শিক্ষকরা এবং বড় ভাইয়েরা আমাকে খুব আদর করেন,‘ বলে আবদুল হাই ।
দুয়ে হাসান,(১৫) এখানকার একজন ছাত্রী। সে বলেছে, সে তুর্কীদের উদারতায় খুব মুগ্ধ।
‘আমরা সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে তুরস্কে এসেছিলাম। তুরস্কের প্রকৃতি ও আবহাওয়া আমার ভাল লাগে। তুরস্কের লোকজন অনেক উদার।
‘শিক্ষকরা খুব সহজেই আমাদেরকে গ্রহণ করে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান যেমন আয়া সুফিয়া, ব্লু মসজিদ ইত্যাদি পরিদর্শন করেছি।
‘আমার লক্ষ্য, আমি কুরআনের শিক্ষক হব। এখান থেকে কুরআন শিখে আমি আমার দেশের মানুষকে কুরআন শেখাব,’ –বলেছে দুয়ে হাসান।
আরেক ছাত্রের নাম আমীন আবদুল হাই। সে বলেছে,‘তুরস্ক অনেক সুন্দর দেশ। ইস্তাম্বুল খুবই চমৎকার একটি শহর। আমি খুব সুখী। পড়ালেখা শেষ করে আমি দেশে যাব। এবং মানুষকে কুরআন শেখাব।’
সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি অবলম্বনে
