আমেরিকায় হিজাবভীতি দূর করতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের বিশেষ কর্মসূচি

হিজাবের প্রতি সাধারণ মানুষের ভীতি ও ভুল ধারণা দূর করতে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‍মুসলিম শিক্ষার্থীরা বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ‘হিজাব-আ-থন’ শীর্ষক কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে যেনো তারা হিজাব সম্পর্কে জানতে পারে এবং তাদের ভুল ধারণার অবসান হয়। কেনো নারীদের হিজাব পরিধান করা উচিৎ সেটাও স্পষ্ট হয়।

ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর ‘ইসলামের প্রতি মমত্বের মাস’ শিরোনামের ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে কর্মসূচি পালন করে। তারই অংশ হিসেবে এ বছর তারা হিজাব-আ-থন পালন করছে।

হিজাব-আ-থনের অথিতি আলোচক ছিলেন ইসরা চাকির। যিনি আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করতে আলোচনা করেন। হিজাব ইসলামি পর্দা ব্যবস্থার অংশ। যা নারীরা পরিবারের বাইরে যাওয়া সময় পরিধান করে। নারীকে অন্য পুরুষের অন্যায় দৃষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্যই এই বিধান দেওয়া হয়েছে। মূলত হিজাব নারী ও পুরুষ উভয়কে অপরাধপ্রবণ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

মুসলিম শিক্ষার্থীরা বলছে, এই তাদের লক্ষ্য হলো, তাদের ধর্মীয় পরিচয় ও বিশেষত্ব পুনরুদ্ধার করা।

মুসলিম শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র সানা নামির বলেন, ‘মানুষ যখন আপনাকে হিজাব পরা দেখবে প্রথমেই ধারণা করবে আপনি মুসলিম। আমি এটাকে ইতিবাচক মনে করি। কারণ, আমিও চাই মানুষ আমার মুসলিম পরিচয়টি জানুক। এটাই আমার পরিচয় এবং সবচেয়ে বড় পরিচয়।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবসের আগ মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা এই বিশেষ কর্মসূচি পালন করছে।

‘ইসলামের প্রতি মমত্বের মাস’ কর্মসূচির পরিচালক ওয়াফা আতিয়াহ বলেন, আমি হিজাব পরি কারণ ইসলামে নারীর জন্য হিজাব পরিধান করা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও আমি হিজাব পরি কারণ আমি এতে নিজের পরিচয়টি খুঁজে পাই।

আয়োজনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, হিজাব পরিধানের কারণে তারা অনেক সময়ই বৈষম্য ও মন্দ আচরণের শিকার হন। তবুও তারা হিজাব পরিধান করে সন্তুষ্ট কারণ, হিজাব ঘৃণার বিপরীতে তাদের পরিচয়কে উজ্জ্বল করে তোলে।

সূত্র : অ্যালিগেটর ডকঅর্গ থেকে আবরার আবদুল্লাহ-এর অনুবাদ

পূর্ববর্তি সংবাদঐক্যফ্রন্টের কেউ শপথও নেবে না, চা চক্রেও যাবে না
পরবর্তি সংবাদচীনের বেল্ট রোড নিয়ে ঢাকাকে কী বলতে চায় দিল্লি