এমন জায়গা থেকে তয়-তদবির আসে উপেক্ষা করতে কষ্ট হয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চিকিৎসকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতির জন্য কখনো এমন জায়গা থেকে তদবির আসে তা উপেক্ষা করতে কষ্ট হয়। এরপরও আমরা চাইব তয়-তদবির যাতে না আসে এবং আমরা সঠিকভাবে যাতে কাজটা করতে পারি।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গঠিত প্রতিষ্ঠানিক টিমের স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত ও তা প্রতিরোধে ২৫ দফা সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে রয়েছে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দুর্নীতি থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। আমরা চাই, সুশাসন সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হোক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমরা সারাদেশে যে সেবা দিয়ে থাকি, সেখানেও যাতে কোনো দুর্নীতির আছর না থাকে।’

তিনি বলেন, ‘ভালো লোক থাকলে আমরা স্বচ্ছতা আনাতে পারব। ভালো যন্ত্রপাতি, ওষুধপত্র পাব। অর্থের অপচয় হবে না। এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, কিছু লোককে আমরা সরিয়ে দিয়েছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বীকার করি চিকিৎসকদের উপস্থিতিটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে, বিশেষ করে উপজেলা লেভেলে খুবই কম। উপস্থিতির ক্ষেত্রে দুটি বিষয়- একটা হলো ডাক্তারের স্বল্পতা আছে। এটা একটা কারণ। আরকেটা কারণ হলো- ওনারা (ডাক্তার) থাকেন না, এটা অন্যায়।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা একটি মনিটরিং সেল করছি। সচিব মহোদয় সেটা নিয়ে কাজ করছেন। সেটা মন্ত্রণালয়, অধিদফতরগুলো, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে থাকবে, এটা একটা নেটওয়ার্কিং। সবকিছু মনিটর করব, অর্থাৎ ডাক্তার, নার্স অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতি, যন্ত্রপাতি সচল আছে কি না, ওষুধপত্র আছে কি না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আছে কি না, পানি আছে কি না, টয়লেটগুলো ফাংশনাল কি না- এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করবে সেল। আমরা অলরেডি পদক্ষেপ নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, বদলি পদোন্নতির ক্ষেত্রে মাফিয়া চক্র থাকার কথা বলেছেন দুদকের কমিশনার। এ বিষয়টিও আমরা দেখব। পদোন্নতি তো তারই হওয়ার উচিত যে যোগ্য। সেই ভিত্তিতেই আমরা এখন থেকে পদোন্নতি দেয়ার চেষ্টা করব। যেখানে যাকে পোস্টিং দেয়া দরকার, ট্রান্সফার করা দরকার, যার যেখানে প্রয়োজন সেখানে সে যাবে। তয়-তদবিরে পোস্টিং হবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি স্বাস্থ্য শিক্ষার ক্ষেত্রে একটু বেহাল অবস্থা আছে। শিক্ষকের অভাব আছে, অবকাঠামোর অভাব আছে। সেই বিষয়গুলো আমরা দেখছি। যাতে মানসম্মত ডাক্তার তৈরি হয় আমরা সেই বিষয়টি নিশ্চিত করব আগামী দিনগুলোতে।’

পূর্ববর্তি সংবাদবড় সাহেবরা ঘুষ খাওয়া বন্ধ করলে ছোটরা সোজা হয়ে যাবে
পরবর্তি সংবাদফরিদগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মামলায় আসামি ৩০০