ইসলাম টাইমস ডেস্ক : নোয়াখালীর হাতিয়ায় পুলিশের সহায়তায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করায় এবার মাদরাসা শিক্ষক ও ইমামকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। আহত ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষক জাতীয় হেল্পলাইন ‘৯৯৯’-এ ফোন করে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন।
আহত মাদরাসা শিক্ষক তারিকুল মাওলাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইমাম মিনহাজুল ইসলামকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন : দিনাজপুরে বাল্যবিয়ে পড়ানোর দায়ে ইমাম কারাগারে, ছাড় পেলেন আয়োজকরা
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, হাতিয়া দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন তরিকুল মাওলা। গত মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) তার মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আক্তার (১৩)-এর বিয়ের উদ্যোগ নেন পরিবার। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি জাতীয় হেল্প লাইনে বাল্যবিয়ের সংবাদ দেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এই বাল্যবিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা নেন।
এরপর সেদিনই বিকেলে তারিকুল মাওলা এবং স্থানীয় পূর্ব রসুলপুর জামে মসজিদের ইমাম মিনহাজুল ইসলাম একসঙ্গে হাতিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে পূর্ব রসুল গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে আবদুল কাদের, আবদুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ আলী মহব্বত, আবদুল জিলানীর ছেলে এনায়েত হোসেন বেচু, সমির উদ্দিন, বাবলু ও কালামসহ ১০-১২ জন তাদের ওপর হামলা চালায়।
একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাদের ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে নিয়েই গাছের সঙ্গে বেঁধে তাদের নির্যাতন করে। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও টর্চলাইটসহ নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক তিনটি স্ট্যাম্প ও দু’টি নীল কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তারিকুলকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম বলেন, বিষয়টি জেনে আমি মামলা করতে বলেছি। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার জানান, ওই শিক্ষক থানায় আসার পর তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলেছি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
