ক্যাম্পাসে ইশা ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার ঘোষণা ঢাবি ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনসহ যে কোনো ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগ। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী ও ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে কাউকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।

তারা ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ক্যাম্পাসে মিছিল করার নিন্দাও জানান।

বামধারা ছাত্র সংগঠনগুলো দাবি করছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহু আগে থেকেই ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক কোনো সংগঠনের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ নেই। কিন্তু এর আগে পরিবেশ পরিষদের এক বৈঠকে ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠনের ঢাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় ছাত্রলীগ ও বাম সংগঠনগুলো।

সচেতন ছাত্রমহলের প্রশ্ন হলো, যদি আগে থেকেই নিষিদ্ধ থাকে তাহলে নতুন করে নিষিদ্ধ করার দাবি কেনো উঠলো আর আইনত নিষিদ্ধ থাকলে তা প্রতিহত করার কথা আসেই বা কোথা থেকে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলের অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। এই লক্ষ্যে তারা গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করে। তাদের মিছিলের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট নামের বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তারা ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায় এ সময়।

অন্যদিকে ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে পরস্পর বিপরীত বক্তব্য দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ ঢাকার একটি গণমাধ্যমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, পরিবেশ পরিষদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ বহু আগে থেকেই৷ ধর্মভিত্তিক সংগঠনের প্রসঙ্গ সর্বশেষ সিন্ডিকেট (২৯ জানুয়ারি) সভায় উঠেছিল৷ আলোচনায় সেই নিষেধাজ্ঞা বহালই রাখা হয়েছে৷ ধর্মভিত্তিক সংগঠনের ডাকসু নির্বাচন করা তো দূরের কথা, ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর এখতিয়ারই নেই।

এর বিপরীতে ২৯ জানুয়ারির সিন্ডিকেট মিটিংয়ের পর সাংবাদিক পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর কাছে ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠন ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্ন কেন উঠছে? ডাকসুর নির্বাচন কী দলভিত্তিক? যে ছাত্র সেই ডাকসু নির্বাচন করতে পারবে। এমন সিদ্ধান্ত হলে আমরাই জানাতাম।’

আজ তিনি উল্লিখিত গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রশ্নটি আপত্তিকর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ছাত্রসংগঠনের জন্ম দেয় না, কাউকে বাতিল বা অন্তর্ভুক্তও করে না৷’

অন্যদিকে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বলছেন, ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া হলে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।

উল্লেখ্য, আজ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস ঢাকার এক সমাবেশে ডাকসু নির্বাচনে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।

পূর্ববর্তি সংবাদইজতেমার সাফল্যের জন্য আল্লামা শফীর দোয়া চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পরবর্তি সংবাদএকুশে বইমেলায় দৃষ্টিনন্দন নামাজের স্থান, মুসল্লিদের স্বস্তি