একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার জিয়ার অবদান: আ. লীগকে মোশাররফ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, একুশে পদক প্রবর্তন করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান, স্বাধীনতার পদকও প্রবর্তন করেছেন তিনি।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলো বাংলা ও বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করত না বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক পুরস্কার প্রবর্তনের ইতিহাস দেখালেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “১৯৭৬ সাল থেকে একুশের পদক প্রদান করা হচ্ছে। ১৯৭৬ সালে কে ছিলেন? আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন। আর উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন, যে ১৯৭৫ সালের পরে যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তাদের বাংলা ভাষার প্রতি কোনো শ্রদ্ধা ছিল না, বাংলা সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ছিল না। তাহলে কেন ১৯৭৬ সালে প্রথম একুশের পদক প্রবর্তন হয়?

“তারপরে উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন যে, তারা আমাদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রচলন শুরু হয়। এটা ১৯৭৫ সালের আগে না পরে?”

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকারের লেখা ‘নিশি রাত্রির দ্বিপ্রহর’ ও ‘মিথ্যার কাছে জাতি পরাজিত’ শিরোনামের দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ বিএনপির আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও বলেন।

এজন্য সাংগঠনিক অবস্থা মজবুত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেই যেই জায়গায় আমাদের দূর্বলতা আছে, সেগুলোকে চিহ্নিত করে দল পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। দল শক্তিশালীতে করতে আমাদেরকে কিছু দিন সময় দিতে হবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বিএনপির সামনে বিরাট সুযোগ গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা। বড় দল হিসেবে আমাদের এটি দায়িত্ব। আমি মনে করি, এরজন্য জনগণ প্রস্তুত আছে, বিএনপিও ইনশাল্লাহ প্রস্তুত আছে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ ২৯ তারিখ ভোট ডাকাতি করে দ্বিতীয়বার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দেশের মানুষের একটা প্রশ্ন ছিল, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচনে যাইনি কেন? তাদের বিশ্বাস ছিল যে, ২০১৪ সালে যদি আমরা নির্বাচনে যেতাম, তাহলে আমাদেরকে ভোট দিয়ে তারা স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করত। এবার আমরা নির্বাচনে যাওয়ার পরে জনগণ দেখতে পেয়েছে, ভোটের আগের রাতে তাদের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। এতে জনগণ আরও বিক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা প্রস্তুত আছে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, তৈমুর আলম খন্দকার, কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।

পূর্ববর্তি সংবাদএবার কাদিয়ানিদের পক্ষে বললেন কমিউনিস্ট নেতা মেনন!
পরবর্তি সংবাদধামরাইয়ে যাত্রীবাহী দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩