মার্কিন সেনাদের চোখে ধুলা দিয়ে তাদের নাকের ডগায় ১২ বছর অবস্থান করেন মোল্লা ওমর!

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: আফগানিস্তানের তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মাদ ওমর মার্কিন সেনাদের চোখে ধুলা দিয়ে তাদের নাকের ডগায় অবস্থিত একটি বাড়িতে ১২ বছর অবস্থান করেন। মোল্লা ওমরকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র পুরস্কার ঘোষণা করলেও আফগানিস্তানের একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটির কাছেই নিশ্চিন্তে বসবাস করেছেন তিনি। সেখানে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসির।

মার্কিন বা আফগান সরকারের হামলায় তার মৃত্যু হয়নি।

হল্যান্ডের অনুসন্ধানি সাংবাদিক বেট্টে ড্যামের লেখা ‘দ্যা সিক্রেট লাইফ অব মোল্লা ওমর’ বইয়ে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বেট্টে ড্যামের লেখা বইটি গতমাসে ডাচ ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে এবং শিগগিরই এর ইংরেজি ভার্সন বাজারে আসছে বলে জানা গেছে।

বইটিতে বলা হয়েছে, মোল্লা ওমর পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন বলে আমেরিকা দাবি করে আসলেও তিনি কখনোই পাকিস্তানে যাননি। বরং মোল্লা ওমর তার নিজ প্রদেশ জাবুলে অবস্থিত একটি বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে মাত্র তিন মাইল দূরে বসবাস করেছেন।

পাঁচ বছর ধরে গবেষণা ও তালেবান নেতাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ড্যাম বইটি লিখেছেন।

২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনে তালেবান সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান মোল্লা ওমর।

ওই সময় তালেবান নেতার দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালনকারী জব্বার ওমরি’র সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হন বেট্টে ড্যাম। ২০১৩ সালে অসুস্থ হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তালেবান নেতাকে লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন ওমরি।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে তালেবান সরকারকে উৎখাত করে আমেরিকা। ওয়াশিংটন মোল্লা ওমরের মাথার দাম ঘোষণা করে এক কোটি ডলার।

বইটিতে বলা হয়েছে, একবার মার্কিন সেনারা ওই বাড়িটিতে তল্লাশিও চালিয়েছিল কিন্তু তারা তালেবান নেতাকে খুঁজে পায়নি!

আমেরিকা বিশ্বব্যাপী ‘সন্ত্রাস বিরোধ‘ যুদ্ধ করার দাবি করলেও বেশিরভাগ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জন্মদাতা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ওয়াশিংটনের কুখ্যাতি রয়েছে।

পূর্ববর্তি সংবাদ৩ মে হতে পারে ৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
পরবর্তি সংবাদসিলেটের মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়ার ইনতেকাল