ফেসবুকপ্রবণ নবীন-তরুণ মাদরাসা-শিক্ষার্থীরা কোন পথে হাঁটছে?

আতাউর রহমান খসরু ।।

বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যম গণ্য করা হয় ফেসবুককে। অনেকে তাকে গণমাধ্যমের মর্যাদাও দিয়ে থাকেন। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক আরব বসন্তসহ নিকট অতীতের একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক বিপ্লবেও জোরালো ভূমিকা রেখেছে। এখনও অনেক শুভ উদ্যোগের সহযাত্রী হচ্ছে ফেসবুক। অন্যদিকে সমাজে গুজব ও অসত্য প্রচার, সামাজিক শৃংখলা নষ্ট ও সময়ের সীমাহীন অপচয়ের উপলক্ষ্য হওয়ার অভিযোগও রয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। তাই বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয় এই সামাজিক মাধ্যমকে ‘ডিজিটাল ড্রাগ’, ‘টাইম কিলার’, ‘হার্মিং জায়ান্ট’ ইত্যাদিও বলা হয়। ফেসবুকের সর্বব্যাপী এই নেশায় আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় সবাই। নিষ্ঠাবান ধর্মীয় পরিমণ্ডলও আত্মরক্ষা করতে পারছে তার প্রভাব থেকে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সামাজিক মাধ্যমগুলো মানুষের মত প্রকাশের অবাধ ও সহজ সুযোগ এনে দেওয়ায় তা মানুষকে অসহনশীল করে তুলছে দিনদিন। সম্প্রতি কওমি ঘরানার কিছু কিছু নবীন ও তরুণদের এমন কিছু ফেসবুকীয় আচরণ দায়িত্বশীল আলেমদের চিন্তিত করে তুলেছে। তারা মনে করছে, তরুণদের এই প্রবণতা কওমি অঙ্গনের বছরের ঐতিহ্য ও আবহকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা-স্নেহ-ভালোবাসার যে বন্ধন এই অঙ্গনকে যুথবদ্ধ করে রেখেছে তা নড়বড়ে করে দিতে পারে এই প্রবণতা। যদি না নবীনরা সংযত হয় এবং মুরব্বিরা দায়িত্বশীল আচরণ করেন।

বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহকারী মহাসচিব ও জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হকের মুখোমুখি হলে তিনি তার হতাশা গোপন করতে পারলেন না। তিনি বললেন, বিষয় আমাদের দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের হাতে গড়া ফসল আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার বড় উপলক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হতাশার কারণও তুলে ধরেন তিনি। তাহলো, ‘কওমি মাদরাসার একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, ছাত্র-শিক্ষকের সুসম্পর্ক। ছাত্র শিক্ষকের প্রতি অনুগত হবে, শিক্ষকের শ্রদ্ধাশীল হবে এবং শিক্ষক তার ছাত্রের প্রতি স্নেহ-মমতা পোষণ করবেন এবং তার সঙ্গে আমানত ও দিয়ানাতের সম্পর্কের প্রতি সতর্ক হবেন। ফেসবুক অনেক সময় এই বৈশিষ্ট্য নষ্ট করছে –যা আমাদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ। মোবাইল ব্যবহারই যখন শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর সেখানে ফেসবুক ব্যবহার তো আর বেশি ক্ষতিকর।’।

একইভাবে নিজের দুশ্চিন্তার কথা জানান ইসলাম টাইমস সম্পাদক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ। বিষয়টি তিনি এভাবে তুলে ধরেন, ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের ভেতর বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা অনেককে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে। যেমন, সময় নষ্ট করা, বড়দের ব্যাপারে; এমনকি বড় ও গভীর ব্যাপারেও হুটহাট মন্তব্য করে ফেলা –যে বিষয়ে তার কোনো সাধারণ জ্ঞান থাকার কথা নয় সেখানে সে দার্শনিকের মতো মতামত দিতে থাকে। এগুলোর সাথে আছে গিবত-তোহমত-অন্যের চরিত্রহননের বিষয়ও। এখন সহজ হয়ে যাচ্ছে এসব। অথচ এক সময় তা ছিলো অনেক ভাবনা-চিন্তার বিষয়। একটা সময় কেউ এমন নেতিবাচক কিছু করতে চাইলেও তাকে অনেক কায়-কসরত ব্যয় করতে হতো। ফেসবুকে সবকিছু সহজ হয়ে গেছে।

নানামুখী ক্ষতি থাকার পরও ফেসবুক থেকে তরুণ প্রজন্মকে পুরোপুরি বিমুখ করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন মাওলানা মাহফুজুল হক। তাই তার প্রস্তাব হলো এর ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা করা এবং ক্ষতিকর ব্যবহার থেকে বের হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া। তিনি বলেন, যেহেতু ভিন্ন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে আর তরুণরাই পরিবেশ দ্বারা বেশি প্রভাবিত মোবাইল-ফেসবুকে তরুণদের বিচরণ রোধ করা সহজ নয়, তাই তাদের প্রতি আমার আহবান থাকবে তারা যেন তাদের ভবিষ্যত, তাদের দুনিয়া ও আখেরাত এবং আমাদের কওমি মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি আরও সতর্ক ও সচেতন হবে, তারা এর সুরক্ষার গুরুত্ব দিল থেকে অনুভব করবে।

আর সেটা করতে তিনি তিন শ্রেণির মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তারা হলেন, শিক্ষক, সামাজিক মাধ্যমে সরব আলেম ও মিডিয়া। তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, আমি মাদরাসার শিক্ষকদেরকে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রাহনুমায়ি (পথপ্রদর্শন) করার অনুরোধ করবো। বিশেষত যেসব আলেম শিক্ষক আধুনিক প্রযুক্তির বিষয়গুলো বোঝেন এবং যাদের সামনে উদ্ভূত পরিস্থিতি স্পষ্ট তারা যেন নবীন ও তরুণদের বোধোদয়ের জন্য কাজ করতে পারেন। সেটা সামাজিক মাধ্যমেও হতে পারে।

আমাদের যে মিডিয়াগুলো আছে অনলাইন-সাপ্তাহিক-মাসিক, তারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। অপরিপক্ক নবীন ও তরুণরা যেন ফেসবুকের ইতিবাচক ব্যবহারে সীমাবদ্ধ থাকে। কওমি মাদরাসা, দ্বীনদারি ও উলামায়ে কেরাম সবকিছুর প্রতি তারা যেন সহনশীল হয় এবং দ্বীনি পরিবেশটা যেন নষ্ট না করে।

মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ অবশ্য মুরব্বি ও আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, তরুণদেরকে যেসব মাধ্যমগুলো প্রভাবিত করতে পারে -যেমন, শিক্ষক, পরিবার, প্রতিষ্ঠান- তারা নবীণ-তরুণদের প্রবণতার বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন। একইভাবে যারা বড় বড় প্রতিষ্ঠানে বসে আছেন, স্পর্শকাতর জায়গায় আছেন, যারা বড় বড় ব্যক্তিদের সাথে সংশ্লিষ্ট, যাদের কারণে বড়দের প্রতি আঙুল উঠতে পারে তাদেরও সতর্ক হওয়া দরকার। যেন নসিহত এক-তরফা না হয়ে যায়। ছেলেদের ভেতর মান্যতার বিষয়টি আগের মতো নেই। তাদেরকে সঠিক লাইনে রাখার জন্য সতর্ক আচরণ করতে হবে বড়দেরও। বড়দের ভেতর যদি কেউ এমন থাকে যে বারবার সমস্যা তৈরি করছে বা তার কারণে কোনো একজন বড় বা বড়রা বারবার সমালোচিত হচ্ছেন, তাদের প্রতি আস্থা ভঙ্গ হচ্ছে তাহলে তার ব্যাপারেও সতর্কতা গ্রহণ করা উচিত। অর্থাৎ আমার মনে হয়, বড়দেরও একটা বড় ভূমিকা রাখার আছে। দায়িত্বশীলতার দরকার আছে।

এই দুই আলেমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যদি কোনো তরুণ সত্যিই আক্রান্ত হয় তাহলেও কি সে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না? মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, আমি বলবো না, কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। প্রশ্নের ভেতর শালীনতা থাকতে হবে। আদব ও ইহতেরাম থাকতে হবে। ইসলাম এটাই শিখিয়েছে। বাবা যদি ছেলের প্রতি জুলুম করে তবে সে কী পাড়া-মহল্লায় সেটা বলে বেড়াবে? এতে কী তার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে? জুলুম যদিও করেও থাকে তবে তা সমাধানের পথও তো আছে। অভ্যন্তরীণভাবে, প্রতিষ্ঠানের মুরব্বিদের মাধ্যমে, একটি প্রতিষ্ঠানের উপর ভালো-মন্দ বিচারের মতো আরও মুরব্বি বা প্রতিষ্ঠান আছে, বোর্ড আছে, তার মাধ্যমেও সমাধান করা যেতে পারে। নতুবা সমস্যা আরও বাড়বে।

আর মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলেন, একটা সময় ফেসবুক ছিলো না। তখন ছোটরা এক বড় দ্বারা কষ্ট পেলে অন্য বড়র কাছে তা প্রকাশ করতো। তার মাধ্যমে সমাধান করাতো। এখন ফেসবুক এসে গেছে। আমরা এখন মন্দের মধ্যে কম মন্দের কথা বলতে পারি। কেউ যদি কোনো বড়র দ্বারা কষ্ট পায় এবং বড়র দ্বারা উচিত নয় এমন আচরণ প্রকাশ পায় –তাহলে যে নবীন ভূক্তভোগী সে যদি ফেসবুকে বলতেও চায় তবে খুব ভদ্রতার সাথে প্রস্তাব দিতে পারে, বিনয়ের সাথে উচ্চারণ করতে পারে তার সমস্যার কথা। এর বেশি কিছু করা তার জন্য ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে ঢালাও এবং তাৎক্ষণিক অশ্রদ্ধা প্রকাশটা নিন্দনীয়। সন্তানের জন্য পিতাকে, পিতার জন্য সন্তানকে বা একটা গোটা প্রতিষ্ঠানকে অথবা একজন মানুষের হয়তো একটা ক্ষেত্রে অভিযোগ আছে, কিন্তু সব বিষয়ের সাথে তাকে যুক্ত করতে থাকা, সবকিছুর জন্য তাকে দায়ী করা বা গালি দেওয়ার প্রবণতা, আর অপরদিকে নিজেকে দায়মুক্ত ভাবার প্রবণতা- এটা আমার কাছে সংকটজনক মনে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়, কে কার চেয়ে বেশি আক্রমণ করতে পারে। যদি অন্যায় বা জুলুমের কোনো ঘটনা ঘটেও, তখনও মুখ খোলার জন্য, ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্রেণি বিন্যাসটা রক্ষা করা দরকার। যেই শ্রেণির সমস্যা সেই শ্রেণি দেখলেই তো ভালো। তাহলেই একটি সুরাহা বের হবে। একটা ইস্যু পেলেই তাতে শিশু-কিশোর পর্যায়ের ছাত্রদের বিশেষজ্ঞ ভঙ্গিতে জড়িয়ে যাওয়া এটা মোটেও উচিৎ না। এতে সামগ্রিক ক্ষতি হয়।

শরীফ মুহাম্মদ আরও বলেন, আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠান ও মুরব্বিদেরকে আশ্রয় মনে করা হয়, তাদের ব্যাপারে অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করতে থাকাটা ভালো লক্ষণ নয়। এগুলো করতে দেখা যায় এমন নবীনকেও, যার বয়স এখন ১৫ বছর হয়নি অথবা হতে পারে সে একজন তরুণ আলেম, কিন্তু তার আক্রমণের ভাষা দেখলে কখনো কখনো মনে হয়- ইসলামি শিক্ষায় জড়িত নয় এমন কেউ-ই হয়তো এই ভাষাটা ব্যবহার করতো না।

তরুণ প্রজন্মকে সতর্ক করতে মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলেন, নিজেদের দ্বীনী জগতের কোনো বিষয়ে উন্মুক্ত বিচারালয় বসিয়ে ফেলা এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকাটা ভালো না । কোনো জিনিস বুঝতেও তো সময় দরকার। কিন্তু সেই সময়টা আর দেওয়া হয় না। বিচারকার্য শুরু হয়ে যায়। একজন স্ট্যাটাস দেন, দশজন ঝাঁপিয়ে পড়েন। মনে হয়, যেন একটা লাশ ছিঁড়ছে সবাই মিলে। ভীতিকর প্রবণতা। এটা তাদেরকে চরম অশ্রদ্ধার জায়গায় নিয়ে যাবে। যারা আজ এটা অনুশীলন করবে তারা তাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছ থেকে আরও ভয়ঙ্করভাবে কাটাছেঁড়ার শিকার হবে। এটাই পৃথিবীর নেজাম।

মাওলানা মাহফুজুল হক তার সঙ্গে যোগ করেন, একশ্রেণির তরুণ আলেম বা তারুণ্য পার হয়ে যাওয়া আলেমকেও দেখা যায় সামাজিক মাধ্যমে আমাদের মুরব্বি ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠান –যারা এবং যা আমাদের দ্বীনি আশ্রয়- তাদেরকে আক্রান্ত করতে থাকে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ তাদের উচিৎ ছিলো সংযত আচরণ করা। যাতে পরবর্তীরা তাদের দেখে আরও বেশি অসংযত না হয়। আজ আমি একজন মুরব্বিকে ঘায়েল করলে, পরবর্তীতে এই মুরব্বির প্রয়োজন আমিই অনুভব করবো। তখন হয়তো তিনি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে পারবেন না। কারণ, আমরা তাকে সেই স্থানে রাখিনি।

এই ক্ষেত্রে ইসলাম টাইমস সম্পাদকের মন্তব্য হলো, তরুণদের মধ্যে যারা একটু সিনিয়র তাদেরও খেয়াল করা দরকার। প্রচণ্ড সমালোচিত বিষয় ছাড়া বা সমস্ত আলেম বর্জন করেছেন এমন ব্যক্তি, মহল ও বিষয় ছাড়া ঝাঁপিয়ে পড়া, সময় যেতে না দিয়েই লাফিয়ে পড়া ভালো না। তার জীবনের জন্যও না, পুরো সমাজের জন্যও না।

তবে ফেসবুকে চলমান এই পরিস্থিতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ের বিপর্যয় বা বিশৃংখলা বলে মনে করেন না তিনি। তার বক্তব্য হলো, আমি এটাকে একটি খারাপ আলামত বলবো। নৈরাজ্যের পর্যায়ে চলে গেছে বলে আমি মনে করি না। তবে সবার সতর্ক হওয়া দরকার, অঙ্কুরেই সমাধান হওয়া দরকার, নতুবা হয়তো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। কওমি অঙ্গনটা, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার উপর ভিত্তি করেই টিকে আছে। আমাদের যে সম্পর্ক –একজন থেকে উপকৃত হওয়া এবং উপকৃত করা- গড়ে উঠেছে, তা নষ্ট হয়ে যাবে।

মাওলানা মাহফুজুল হক পরিশেষে নবীন, তরুন ও গণমাধ্যম কর্মীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আমিও মনে করি দায়িত্বশীল জায়গায় যারা আছেন তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সতর্ক থাকবে হবে, সতর্কতা বজায় রাখতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু একটি তথ্য পেলেই তা ছড়াতে থাকা, প্রতিক্রিয়া দেখাতে থাকাও তো উচিত নয়। তথ্য যাচাই করা কী মুমিনের প্রথম কাজ না? আমি মনে করি, তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে মিডিয়াগুলোরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এই ক্ষতিকর প্রবণতা থেকে রক্ষ করতে পারে।

পূর্ববর্তি সংবাদনিউজিল্যান্ডের সেই মসজিদে জুমা পড়তে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা
পরবর্তি সংবাদবিচারপতির স্ত্রীর কাছে ঘুষ চেয়ে কারাগারে পুলিশের এসআই