কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্রী নিহত

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ ও চান্দিনা উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লার সদর দক্ষিণে একটি লেগুনা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে গেলে রিয়া সাহা (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচ শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টায় কুমিল্লার সদর দক্ষিণের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোস্তফাপুর এলাকায় এ দুঘর্টনা ঘটে।

নিহত রিয়া সাহা সদর দক্ষিণের বিজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছেন। সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে কুমিল্লার চান্দিনায় গ্যাস লাইন নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর চাপায় মাহমুদা আক্তার ইয়াসমিন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টায় চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় ট্রাক্টর চালক মনোয়ার হোসেনকে (১৮) আটক করে স্থানীয়রা।

নিহতের পরিবারকে গ্যাস লাইন নির্মাণ কোম্পানী থেকে ৬ লাখ এবং জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। নিহত স্কুল ছাত্রী মাহমুদা আক্তার ইয়াসমিন চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মনির হোসেন এর মেয়ে। সে কুটুম্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনির হোসেন জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের সামনের কাঁচা সড়ক দিয়ে গ্যাস লাইন নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর চলাচল করে। ২৬ মার্চ উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসে। ১৭-১৮ বছরের একটি ট্রাক্টর চালক মেয়েদেরকে দেখে জোরে হর্ন চেপে ট্রাক্টরটি রাস্তায় এদিক-সেদিক ঘুরাচ্ছিল। এ সময় ট্রাক্টরের সাথে ধাক্কা লেগে একজন পানিতে পড়ে যায় আরেকজন চাকায় পিষ্ট হয়।

এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা স্কুলের পাশের মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে হাইওয়ে পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে ইয়াছিন (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী আহত হয়। তার মাথার পেছনের অংশ ফেটে গেলে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহত শিক্ষার্থী ইয়াছিন জানায়, গ্যাস কোম্পানীর মতো দায়িত্বশীল একটি প্রতিষ্ঠানে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ট্রাক্টর চালককের চাকরি দেওয়ার প্রতিবাদে এবং চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আমরা মহাসড়কে অবস্থান নেই। এ সময় পুলিশ এসে আমাদের এলোপাথারী মারধর করে। এতে পুলিশের এক সদস্য লাঠি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।

এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) মনিরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাটি মহাসড়কে হয়নি। আঞ্চলিক সড়কে হয়েছে। আর শিক্ষার্থীরা এসে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এখানে হাইওয়ে ও থানা পুলিশ ছিল। পুলিশের কোন সদস্য এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন ঘটনা করেছে সেটা আমার জানা নেই।

পূর্ববর্তি সংবাদভুয়া সংবাদ প্রচার ও যুদ্ধের উসকানি দেয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম: অরুন্ধতি রায়
পরবর্তি সংবাদগোলান মালভূমিতে ইসরাইলের দখলদারিত্বকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ট্রাম্পের