রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের দায়িত্ব মিয়ানমারের : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।  বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় সংকট সমাধানের মূল দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের বলেও মন্তব্য করেন পম্পেও।

গতকাল সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে উভয় নেতার মাঝে এই বৈঠক হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মর্গান ওরটাগুস এক লিখিত মন্তব্যে জানান, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু আশ্রয় দিয়ে যে উদারতার পরিচয় বাংলাদেশ দেখিয়েছে, মাইক পম্পেও তার প্রশংসা করেছেন।

তিনি বলেন, সমস্যার মূল কারণ নির্ধারণের পাশাপাশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কীভাবে একযোগে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেছেন।

এ সময় মাইক পম্পে ‘রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব মিয়ানমারের’ বলে মন্তব্য করে বলেন, উদ্বাস্তুরা যাতে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি সে দেশকেই করতে হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জন্য সম্ভাব্য সব সাহায্যের ব্যাপারে মাইক পম্পেও তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সাহায্যের পরিমাণ ইতিমধ্যেই কমে এসেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জাতিসংঘের মাধ্যমে যে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার মাত্র ১৯ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।

আব্দুল মোমেন জানান, মাইক পম্পেও বাংলাদেশে অবস্থানরত উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিক্ষার তাগিদ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধান সংকট রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষাদানে সক্ষম শিক্ষকের।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি মাইক পম্পেওকে বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি যাতে একটা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় পরিণত না হয়, সে ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন। সমস্যাটি যত দীর্ঘস্থায়ী হবে, জঙ্গিবাদের প্রসারের আশঙ্কা তত বাড়বে।

আলোচনাকালে মাইক পম্পেও বাংলাদেশে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার ওপর জোর দেন। আব্দুল মোমেন জানান, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই প্রশ্নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নীতি—জিরো টলারেন্স।

পূর্ববর্তি সংবাদআবরারের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা  দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল
পরবর্তি সংবাদআসামে গরুর মাংস বিক্রি করায় বৃদ্ধকে মারধর, খাওয়ানো হয় শূকরের মাংস