মুসলমানদের জন্যে মঙ্গল শোভাযাত্রায় শামিল হওয়ার সুযোগ নেই: জমিয়ত

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: বাংলা বর্ষবরণের নামে পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন জীবজন্তুর মূর্তি নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা, মুখে উল্কি আঁকা এবং নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণসহ সকল অনৈসলামিক ও ঈমান-আক্বীদা বিরোধী সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকতে মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দলটির সভাপতি আল্লামা আব্দুল মু’মিন শায়খে ইমামবাড়ি ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, আমরা দেশীয় সংস্কৃতির বিরোধী নই। তবে সংস্কৃতির লেবেল সেঁটে দিয়ে বিদেশী সংস্কৃতি চালুর চেষ্টা এবং মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদা হরণের আয়োজনে চুপ থাকতে পারি না।

বিবৃতিতে জমিয়ত সভাপতি ও মহাসচিব আরো বলেন, বর্ষবরণের নামে মূলতঃ মুসলমনাদের ঈমান-আক্বীদা বিরোধী ভিনদেশী সাংস্কৃতির প্রসার ঘটানোর চেষ্টা চলছে। তারা প্রশ্ন তুলে বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির, পেঁচা, ময়ূর ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে ও মুখোশ পরে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যে র‌্যালী বের করা হয়, এখানে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে? অথচ ইসলামী বিশ্বাস মতে কোন জীবজন্তু, বন্যপ্রাণী ও দেবদেবীর মূর্তির কাছে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করলে ঈমান থাকবে না।

তারা বলেন, মুসলমানদের জন্য এই বিশ্বাস রাখা আবশ্যক যে, ভাল-মন্দ, মঙ্গল-অমঙ্গল সব কিছু আল্লাহর হুকুমেই সংঘটিত হয়ে থাকে। মুসলমানকে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করতে হবে একমাত্র আল্লাহর কাছে। সুতরাং মুসলমানদের জন্যে কথিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় শামিল হওয়ার সুযোগ নেই।

পহেলা বৈশাখে দেশের সকল সরকারী স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনে ছাত্র-ছাত্রীদের শরীক থাকতে সরকারী নির্দেশনার প্রতিবাদ জানিয়ে জমিয়ত সভাপতি ও মহাসচিব বলেন, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ৯২ ভাগ মুসলমানের সন্তানকে কী করে শিক্ষা অধিদপ্তর ঈমান-আক্বীদা বিরোধী মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশ দিতে পারে! এটা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাখ লাখ মুসলিম ছাত্রছাত্রীর ইসলামী চেতনাবোধ ধ্বংসের আয়োজন ছাড়া কিছু নয়।

জমিয়তে নেতৃদ্বয় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশীয় সংস্কৃতির মানে হচ্ছে, যেসব আচরণ ও রীতি দেশের মানুষের সামাজিক জীবনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রকাশ পায়। অথচ শিক্ষা অধিদপ্তর পহেলা বৈশাখ সারা দেশের কোমলমতি লাখ লাখ মুসলিম ছাত্রদেরকে এমন এক সংস্কৃতি পালনে বাধ্য করতে চাচ্ছে, যেই সংস্কৃতির রীতি ও ধরণ সম্পর্কে দেশের ৯০ ভাগ মানুষের কোন ধারণাই নেই। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মাত্র কয়েক যুগ আগের ইতিহাসেও পহেলা বৈশাখ মঙ্গল শোভাযাত্রার অস্তিত্ব নেই, তাহলে সেটা দেশীয় সাংস্কৃতি হয় কী করে?

 

পূর্ববর্তি সংবাদবিজেপি প্রধান অমিত শাহর হুঙ্কার: মুসলমান অভিবাসীদের বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলব
পরবর্তি সংবাদপ্রশ্নফাঁস ইস্যু: হাইয়ার তদন্ত কমিটি বৈঠকে বসছে রবিবার