সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে বেপরোয়া : শাহীন হত্যার প্রতিবাদে ফখরুল

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  বিএনপির অ্যাডভোকেট শাহীনকে কুপিয়ে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে বেপরোয়া। মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে।

বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং প্রতিবাদী মানুষের রক্তে হাত রঞ্জিত করে চারদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে। যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়।

মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পরিবহন মালিক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীনকে (৫৫)  ‘ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে’ খুন করা হয়েছে বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।

পরিবারের সদস্যদের ধারণা, বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের ভাই পরিবহন ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান জানান, শাহীন মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। তিনি এ গ্রুপের একটি পক্ষকে মামলাসহ আইনি সহযোগিতা করতেন। তাই অপরপক্ষ তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়।

কয়েক দিন ধরে ফোনে শাহীনকে হুমকিও দেয়া হচ্ছিল। তাদের বিশ্বাস, এর জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড। পাশাপাশি তারা স্নিগ্ধা আবাসিক প্রকল্পের একটি পুকুর কেনা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে শাহীনের বিরোধের কথাও উল্লেখ করেন।

তারা শাহীনকে হত্যার সময় সঙ্গে থাকা নুনগোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলীমুদ্দিনকেও সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন।

স্বজনদের কেউ কেউ বলছেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামীতে অ্যাডভোকেট শাহীন সভাপতি পদে নির্বাচন করার কথা। এ কারণেও তিনি খুনের শিকার হতে পারেন।

নিহত শাহীনের ভাইয়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান, শাহীনের সঙ্গে তাদের শুধু ব্যবসায়িক নয়; পারিবারিক সম্পর্কও রয়েছে। তার বিশ্বাস তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

এদিকে বাদ আসর ধরমপুর খেলার মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপি চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

এ ছাড়া অ্যাডভোকেট বার সমিতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে তাদের আইনি সহায়তা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

পূর্ববর্তি সংবাদআচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নিষিদ্ধ হল যোগী আদিত্যনাথ
পরবর্তি সংবাদবাংলাদেশের ডাক্তারদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি পরামর্শ