বান্দরবনে সবজি ক্ষেতের আড়ালে হচ্ছে গাঁজা চাষ!

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: বান্দরবানের লামায় সবজি ক্ষেতের আড়ালে গাঁজা চাষ হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। লামা পৌর শহরের কাছাকাছি সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রোয়াজা ঝিরি পাড়া এলাকায় মো. ইয়াহিয়া মিন্টু (৩৮) তার বর্গা নেয়া ২০ শতক জমিতে এই গাঁজার ক্ষেত তৈরি করেছেন।

মিন্টু লামা পৌরসভার হরিণঝিরি এলাকার জাকের হোসেন কুতুবীর ছেলে।

জানা যায়, রোয়াজা ঝিরি এলাকার লোকমানের বাড়ির পূর্ব পাশে পাহাড়ের কোল ঘেষে ৬০ শতক জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি চাষাবাদ করছেন মো. ইয়াহিয়া মিন্টু। তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম (৩২) ক্ষেতের কাজে সহায়তা করেন। জমিটি লামা পৌরসভার ছাগলখাইয়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুস ছালাম লেদুর কাছ থেকে ১ বছরের জন্য ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বর্গা নেয় মিন্টু। সেখানে ভুট্টা, সীম, পেঁপে, বেগুন, মরিচসহ নানা রকম সবজির চাষাবাদ করা হয়েছে। পাশের চলাচলের রাস্তা থেকে ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে দেখলে এইসব সবজি ক্ষেত মনে হবে। এইসব সবজি ক্ষেতের আড়ালে প্রায় ২০ শতক জমিতে নেশাদ্রব্য গাঁজার চাষ করছেন মিন্টু।

রোয়াজা ঝিরি পাড়ার মুরুব্বী লোকমান হোসেন (৬১) ও নেজবর আলী (৬৫) বলেন, এই এলাকায় কখনো গাঁজা চাষ হয়নি। তাই কেউ গাজা গাছটি চিনে না।

পৌরসভার হরিণঝিরি এলাকার কয়েকজন গণমাধ্যমকে বলেন, মিন্টু দীর্ঘদিন যাবৎ গাঁজা বিক্রি করে। এইকাজে তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম ও তার বোন জামাই পার্শ্ববর্তী রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মাষ্টার পাড়া এলাকার মো. ইকবাল এবং ইকবালের স্ত্রী জামিলা আক্তার জড়িত রয়েছে। ইকবাল মাষ্টার পাড়া এলাকায় তার তামাক ক্ষেতে কিছুদিন আগে গাঁজার চাষ করেছিল। জানাজানি হলে তিনি গাছগুলো তুলে ফেলে।

এদিকে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ তদন্ত আমিনুল হক খবর পেয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ক্ষেত ধ্বংস ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।

পূর্ববর্তি সংবাদকোন্ জীবনে পালিয়ে গেল মেয়েটি?!
পরবর্তি সংবাদশবে বরাত: ইসলামের সকল শিক্ষাই ভারসাম্যপূর্ণ ও প্রান্তিকতামুক্ত