ইসলাম টাইমস ডেস্ক: উড়ো চিঠিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে মসজিদের আশপাশের এলাকায় অসমাজিক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় অভিযোগ তুলে তা বন্ধ না করলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এসব ঘটনার সঙ্গে ওই এলাকার পুলিশের কিছু কর্মকর্তাও জড়িত বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবরে ডাকযোগে এক চিঠিতে এ হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে কে বা কারা এই হুমকি দিয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
মসজিদের আশপাশের আবাসিক হোটেলগুলো থেকে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আধা কিলোমিটারের মধ্যে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ার ১০ কাজী আবদুল হামিদ লেনের ‘হোটেল স্বর্নালী’তে ৩য় থেকে ৫ম তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোরে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০টি তরুণীকে দিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।’’
ইতিমধ্যে বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
গত ১৮ এপ্রিল ডাকযোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবর চিঠিটি পাঠানো হয়। চিঠিটি গত ২৩ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে। এরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। এছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা মহানগর পুলিশকে আলাদা চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, “এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের কিছু কর্মকর্তাও জড়িত। দৈনিক যা আয় হয় তার বেশিরভাগ টাকা ওইসব অসাধু কর্মকর্তাদের মধ্যেও ভাগ-বাটোয়ারা হয় বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। চিঠিতে লালবাগ জোনের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নামও উল্লেখ করা হয়।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘‘এসব অন্যায় ব্যভিচার আমরা সহ্য করবো না। যদি ওই হোটেলের অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা না হয় তাহলে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বোমা ও টাইম বোমা চার্জ করে বিশ্ব মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হবে। পুরো বিশ্ব জানবে, বর্তমান সরকার ও তার পুলিশ কী জঘন্য কাজে লিপ্ত। তাই অবিলম্বে এ অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন।’’
এবিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, চিঠিটি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। যেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত সেখানে নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। তদন্ত চলছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, চিঠি পাওয়ার পরপরই আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তাছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জোনের উপ কমিশনারকে চিঠির অনুলিপি দিয়েছি।
![](https://www.islamtime24.com/wp-content/uploads/2021/03/20210308_200803-scaled.jpg)