ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আক্রমণ থেকে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে কক্সবাজারে ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলোর সঙ্গে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রও যোগ হবে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হবে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪৩ জন মানুষের। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষও।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের শহীদ এ টি এম জাফর আলম সম্মেলনকক্ষে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার এসব তথ্য জানান।
মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেন, ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মাইকিং এবং লোকজনকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জরুরি মুহূর্তে সরবরাহ করার জন্য ২ লাখ মানুষের খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত শুকনো খাবারও মজুত করা আছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, ৩ মে বিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব কক্সবাজারে শুরু হওয়ার আশঙ্কা আছে। আগামী ৫ মে অমাবস্যার পূর্ণ জোয়ার হবে। এর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব মিলিয়ে পানির উচ্চতা ৪-৫ ফুট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
