প্রথম তারাবীতে যা পড়া হবে

[তারাবীর নামাযে কুরআনুল কারীম যেদিন যতটুকু তেলাওয়াত করা হবে তার একটি সারসংক্ষেপ ও ইশারাকথা  ওই দিনের তারাবীর আগে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ]

বিশেষ প্রতিবেদন: আজ ২৯ শাবান। রমযানের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাব্য দিন। চাঁদ দেখা গেলে কাল থেকে শুরু হবে রহমত বরকতের মাস রমযান। রমযানের অন্যতম আমল তারাবীহ। তারাবীতে কুরআনুল কারীম কমপক্ষে একবার খতম করা সুন্নত।

বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে সাধারনত সাতাশ দিনে এক খতম পূর্ণ করা হয়। প্রথম ছয়দিনে প্রতিদিন দেড়পারা করে। পরবর্তী দিনগুলোতে প্রতিদিন এক পাড়া তিলাওয়াত করা হয়। চাঁদ দেখা গেলে আজ প্রথম তারাবী। সূরা ফাতিহাসহ সূরা বাকারাহ থেকে ত্রিশ পৃষ্ঠা পড়া হবে।

সূরা বাকারার শুরুতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের সিফাত ও আখিরাতে বিশ্বাস, কাফিরদের ঈমান না আনার কারণ ও পরিণতি এবং মুনাফিকদের হঠকারিতার আলোচনা করেছেন। একটু পরে মানুষ সৃষ্টির কারণ, ফিরিশতাদের সাথে আল্লাহর কথোপকথনের বিবরণ, ইবলিস কর্তৃক আদম ও হাওয়া আ. -এর প্রতারিত হওয়ার আলোচনাও সংক্ষিপ্ত পরিসরে করা হয়েছে।

অতপর পনের পৃষ্ঠাব্যাপি ইয়াহুদিদের প্রতি আল্লাহর দেয়া নেয়ামত এবং ইয়াহুদি কর্তৃক এসব নেয়ামতের অবমূল্যায়ন, এমনকি নবীদের সাথে তাদের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, নবীদেরকে হত্যা করার বিবরণ আলোচনা করা হয়েছে।

প্রথম পারার শেষের দিকে আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম আ. -এর কুরবানী, কা’বা নির্মাণ এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের ব্যাপার আলোচনা করেছেন।

দ্বিতীয় পারার শুরুতে উম্মতে মুহাম্মাদির বৈশিষ্ঠ্য তাদের শ্রেষ্ঠত্বের আলোচনা করা হয়েছে। তারাবীর শেষের দিকে পড়া হবে হজ্বের বিবরণ ও বিধি-বিধান।

পূর্ববর্তি সংবাদপদ্মা সেতুতে ১২তম স্প্যান বসেছে আজ
পরবর্তি সংবাদরমযানের চাঁদ দেখা গেছে