ইসলাম টাইমস ডেস্ক: দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থার কারণে বিমান বন্দর সড়কে যানজট এখন নিত্যদিনের চিত্র। নগরের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর সড়কে প্রায়ই র কবলে পড়ে বিমান যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায়ই নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। এতে অনেক প্রবাসী চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরত আসার ঘটনাও ঘটেছে।
জিইসি মোড় থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহনের মাধ্যমে এ পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। কিন্তু যানজটের কারণে এই রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে দুই থেকে চার ঘণ্টা।
সিএমপির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনের বেলায় নগরে চলছে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি। বন্দরে বিভিন্ন রফতানি পণ্য আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত এসব ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি বিজিএমইএ’র বিশেষ টোকেন নিয়ে নগরে প্রবেশ করছে। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার হচ্ছে সড়কে।
এদিকে পোষাক শিল্পের ক্রেতারা যানজটের কারণে বাংলাদেশ বিমুখ হয়ে পড়ছেন। এতে পোশাক শিল্পের বাজার হারাতে বসেছেন শিল্প উদ্যোক্তারা।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম প্রধান আনোয়ার এইচ সিদ্দিকী জানান, সব সময়ই যানজটের কারণে ফ্লাইট মিস করার অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু অন টাইম ডিপারচারের কারণে এ বিষয়ে কিছু করার থাকে না।
রোববার (৫ মে) নভোএয়ার, রিজেন্ট, ইউএস বাংলার শতাধিক যাত্রী যানজটের কারণে ফ্লাইট মিস করেছেন।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা মো. শাহেদ বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (৫ মে) চট্টগ্রাম থেকে ৭টি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। সকাল ১০টা, পৌনে ১১টা, পৌনে ৩টা, ৫টা ১০মিনিট, পৌনে ৮টায় দোহা, রাত ৯টা ২০ মিনিটে অভ্যন্তরীণ ও সাড়ে ১০টায় মাস্কাট ছেড়ে গেছে। যানজটে পড়ায় যাত্রীদের জন্য দুয়েকটি ফ্লাইটকে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কর্মকর্তা মো. দিদার বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (৫ মে) চট্টগ্রাম থেকে ৬টি ফ্লাইট যথারীতি ছেড়ে গেছে। অনেক সময় যানজটের জন্য যাত্রীরা ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারে ন না।
এ অবস্থায় নতুন নৌপথ চালু করতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগ্রাবাদ হয়ে বিমান বন্দর যাওয়ার পথে ইপিজেডের যানজট এড়াতে সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট পর্যন্ত চালু করা হবে নতুন এ নৌপথ। একইসঙ্গে বিমান যাত্রীদের লাগেজ সদরঘাটে বিমান সংস্থাগুলোর কাউন্টারে জমা দেয়ার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
