ইসলাম টাইমস ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালের নার্সকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের গজারিয়া বিলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ছিলেন।
এ ঘটনায় স্বর্ণলতা বাসের চালক কাপাশিয়ার নূরুজ্জামান (৩৯) ও হেলপার লালন মিয়াকে (৩৩) সোমবার রাতে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত নার্সের চাচা নাসিরুদ্দিন অভিযোগ করেন, তার ভাতিজি তানিয়া পরিবারের সঙ্গে প্রথম রোজা পালন করতে সোমবার বিকালে বিমানবন্দর এলাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। আস্তে আস্তে পথে সব যাত্রী নেমে গেলে তিনি ওই বাসে একা ছিলেন। বাসটি বাজিতপুরের পিরিজপুর ইউনিয়নের গজারিয়া বিলপাড় এলাকায় পৌঁছালে তাকে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে হত্যাচেষ্টা করে। পরে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বাস নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা রাতে মেয়েটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কটিয়াদী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই নার্সের স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা নিশ্চিত যে তানিয়াকে বাসে একা পেয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে তাকে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তবে কটিয়াদি থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, তারা গত রাতেই স্বর্ণলতা বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে। ওসি আটক ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলেছে, ওই যাত্রীর কানে এয়ারফোন ছিল। কাজেই বাস থেকে নামার পর সে আর বাসের শব্দ শুনতে না পাওয়ায় তাদের বাসের নিচে চাপা পড়ে। এরপর তারাই নাকি মেয়েটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
ওসি আরও বলেন, ‘তারা যা বলুক, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে’
