বিশেষ প্রতিবেদন: রমযানে ইফতার রোযাদারের জন্য আনন্দের মুহুর্ত। হাদীসে ইফতারকে আনন্দের সময় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষত সিলেট অঞ্চলে বাবার জন্য মেয়ের শশুর বাড়িতে ইফতার পাঠানোর চিন্তা সারা মাসের ইফতারের আনন্দকে নষ্ট করে দেয়। অসচ্ছল অনেক বাবা চক্ষুলজ্জার কারণে চরম অর্থ-সংকট থাকা সত্ত্বেও আয়োজন করে মেয়ের শশুর বাড়িতে ইফতার পাঠান।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক কু-সংস্কার প্রচলিত। সিলেটে আছে কনের বাড়ি থেকে আয়োজন করে বরের বাড়িতে ইফতার পাঠানোর প্রথা। এই গর্হিত প্রথা ও সামাজিক অনাচারের ব্যাপারে ইসলাম টাইমসের পক্ষ থেকে কথা বলা হয় সিলেটের তরুণ আলেমদের সাথে।
সিলেটের পরিচিত তরুণ আলেম মাওলানা জিয়াউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি ইসলাম টাইমসকে বলেন, সিলেট অঞ্চলে এই প্রথা মহামারি আকার ধারণ করেছে। কত দরিদ্র দিনমজুর মানুষ আমাদের সাথে তাদের দুঃখের কথা বলে। দেখা যায় গরিব অনেক মানুষের একমাসের উপার্জনের অর্ধেকই ব্যয় হয়ে যায় ইফতারের সরঞ্জামাদি পাঠাতে। কোন বাড়িতে যদি একাধিক ছেলে- বউ থাকে তাহলে তো সেটা আরো মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায়। খোটা দেওয়া হয়। অমুকে এই পাঠিয়েছে। ওরা এই পাঠিয়েছে। এ নিয়ে কতসব কথা শুনতে হয় মেয়েদের।এই কুপ্রথা নির্মূলের জন্য আলেমদের ভূমিকা রাখা উচিৎ।
সিলেটের আরেক তরুণ আলেম মাওলানা সাইফুল্লাহর সাথে কথা বললে তিনি ইসলাম টাইমসকে বলেন, এটা একটা কুপ্রথা। এটা বন্ধের জন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। সামাজিক সচেতনতা দরকার। ছেলেরা যদি মনে করে তাদের শশুর বাড়ি থেকে ইফতার বাবদ কিছু গ্রহণ করবে না বরং সে নিজে শশুর বাড়িতে ইফতার নিয়ে যাবে তাহলেই আস্তে আস্তে এই কুপ্রথা বন্ধ হয়ে যাবে।
