বুযুর্গদের ইতিকাফ: বর্ষীয়ান মুফতি আব্দুল বারীর সান্নিধ্যে সারা মাস উপকৃত হন মানুষ

আবু দারদা ।।

তাকওয়া, আত্মশুদ্ধি ও সংযমের দৃঢ় পয়গাম নিয়ে আমাদের মাঝে আসে পবিত্র মাহে রমযান। এ মহিমান্বিত মাস আমাদের মাঝে তাকওয়া ও সংযমের শিক্ষা এবং রহমত-বরকতের বার্তা দিয়ে যায়।

বাকি এগারো মাস থেকে রমযান মাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রমযানের সিয়াম-সাধনাকে বলা হয় অন্য মাসগুলোতে নেকির সাথে থাকার জন্য ‘প্রশিক্ষণ’-এর মাস৷ এই একমাসে আমল-আখলাক ও তাকওয়ার যথাযথ প্রশিক্ষণ নেয়ার দ্বারা বাকী এগারোমাস আমলের প্রতি ব্রতী হওয়া সহজ হয়। এজন্য রমযান মাসে আত্মিক উৎকর্ষ ও রূহানী তারাক্কীর লক্ষ্যে হাক্কানী উলামায়ে কেরাম নানারকম কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকেন। এর একটি হচ্ছে, নিজের সঙ্গে সম্পর্কিত জনদের নিয়ে ইতিকাফে বসা।

আজ আমরা সেরকম একজন আল্লাহওয়ালা বুযুর্গের রমযান কেন্দ্রিক প্রোগ্রাম নিয়ে কথা বলছি।

মুসলিহে উম্মত মুফতী আব্দুল বারী সাহেবের বয়স প্রায় ৮৭ বছর। তিনি হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর বিশিষ্ট খলীফা। সাবেক মুহতামিম বড়কাটারা আশরাফুল উলূম মাদরাসা। বর্তমান প্রতিষ্ঠাতা-মুহতামিম, জামিয়া আশরাফিয়া মাদরাসা সাইনবোর্ড, নারায়ণগঞ্জ।

এই মহান ব্যক্তিত্বের রয়েছে মাদরাসা কেন্দ্রিক খানকাহ। সেই খানকার রমযান কেন্দ্রিক কার্যক্রম জানতে খানকার সহকারী ও জামিয়া আশরাফিয়ার শিক্ষক মুফতী শেখ ফরিদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ইসলাম টাইমসকে জানান, পুরো রমযান জুড়ে মুফতী আব্দুল বারী সাহেবের তত্ত্বাবধানে ইসলাহী কার্যক্রম পরিচালনা হয়৷ শুরুর বিশদিন সালেকীন এবং মুতাআলিকীনদের অংশগ্রহণে নিয়মিত আমলের সবক দেন মুফতী সাহেব। দৈনিক মুহাসাবার বইয়ে তার কাজের বিবরণ থাকে৷ মুফতী সাহেব প্রতিদিন সকালে মুহাসাবা গ্রহণ করে তার অনুসারীদের যাবতীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷

রমযানের শেষদশকে সাইনবোর্ড জামিয়া আশরাফিয়ায় হয় সুন্নত ইতেকাফের আমল৷ এখানেও মুফতী সাহেব হুজুর সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। সাথে থাকেন অনেক আলেম-ওলামা এবং ভক্তবৃন্দ। এভাবে ইতিকাফের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক একটি সম্মেলনই যেন ঘটে যায়৷ আগত ভক্ত-মুরীদ ও সম্পর্কিত জনেরা মুফতী সাহেবকে কাছে পেয়ে সবসময় নিজেদের হাল জানিয়ে ইসলাহী সবক গ্রহণ করে আত্মশুদ্ধির কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন।

যারা রমযানকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে আল্লাহওয়াদের সান্নিধ্যে গ্রহণ করে রমযানের মহিমান্বিত বরকতকে আরো বেশি বরকমত করতে চান তাদের জন্য হক্কানী শায়খদের খানকায় বা তরবিয়তে নিজের যহেরী -বাতেনী চিকিৎসার সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। রমযানে সিয়ামের শিক্ষা ও তাৎপর্য নিজেদের জবিনে আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার মেহনতে যুক্ত হতে পারেন।

রাব্বে কারীম আমাদের প্রত্যেককে রমযানের পরিপূর্ণ তাকওয়া হাসিলের তাওফিক দান করুন।

পূর্ববর্তি সংবাদশ্রীলঙ্কার খ্রিস্টান স্কুল থেকে ১১ জন মুসলমান শিক্ষিকাকে বের করে দেয়া হল
পরবর্তি সংবাদখুলনায় ৯ দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ, রাজপথেই তারা করবে ইফতার