ইসলাম টাইমস প্রতিবেদন: রমযান মাস মুসলমানদের জন্য বড় নেয়ামত ও ফজিলতের মাস৷ এমাস মুমিনদের ঈমান আমলে উৎকর্ষ সাধনের মাস। রহমত, বরকত ও নাজাতের এই মাসকে আরো বেশি উপকারী করে কাজে লাগাতে বরেণ্য শায়খগণ মাসব্যাপী আমলের মজলিস কায়েম করে থাকেন।
রমযানকেন্দ্রিক এই মেহনতের সময়সীমা সাধারণত রমযানের শেষ দশক হয়ে থাকে৷ সুন্নত ইতেকাফ হিসেবে তা করা হয়। কোথাও বা মানুষের ইসলাহের মেহনত এবং রমযানকে বরকতময় ও সুন্দর করতে আরো লম্বা সময় নিয়ে শায়খগণ তাদের মুরীদান ও সম্পর্কিত লোকদের সময় দিয়ে থাকেন। এতে থাকে নানান আয়োজন৷ তালীমে কুরআন, নামাজ, জিকির-আযকারসহ ইসলাহী বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়৷
আজ আমরা সেরকম একটি ইসলাহী মজলিসের কথা বলছি। জামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের প্রাচীন এক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শাবানের ২০ তারিখ থেকে রমযান ঈদ পর্যন্ত ৪০ দিনের ইসলাহী মজলিসের কার্যক্রম চালু হয়েছে৷ যা আজও চলমান। রমযান উপলক্ষে ৪০ দিনের কার্যক্রম জানতে জামিয়া নানুপুরের শিক্ষক মুফতী মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইসলাম টাইমসকে জানান, নানুপুর জামিয়া এবং শায়খদের সাথে সম্পর্কিত লোকদের জন্য মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ৪০ দিনের ইতেকাফের আমল চলে আসছে।
৪০ দিনের ধারাবাহিকতা কেন শুরু হলো তা জানতে চাইলে মুফতী মুস্তাফিজ বলেন, রমযান সামনে রেখে ৪০ দিনের ইতেকাফের আমল শাইখুল হাদীস যাকারিয়া রহ.-এর খানকাহ সাহারানপুরে হতো। সেই ধারাবাহিকতায় মাদরাসার শুরুলগ্ন থেকে এই ইসলাহী আমলের প্রোগ্রাম চলে আসছে৷ প্রথমে শাহ সোলতান আহমদ নানুপুরী রহ, পরে শাহ জমিরউদ্দীন রহ. এই মজলিসের ধারা চালু রাখেন। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় দুই শতাধিক লোক জমায়েত হন। এবং আত্মশুদ্ধির আমলে মনোনিবেশ করেন৷ খানকাহ-এর তত্ত্বাবধানে থাকেন মাওলানা শাহ জমির উদ্দিন রহ.-এর খলীফা বর্তমান নানুপুর মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা ছালাহউদ্দিন নানুপুরী সাহেব। তিনি রমজানের শেষ দশকে খানকাহে মুরীদানদের সাথে সুন্নত ইতেকাফের আমল করেন। তার অবর্তমানে খানকাহের জিম্মাদার হিসেবে থাকেন জামিয়ার শিক্ষক মাওলানা রাশেদুল ইসলাম (নওগাঁর হুজুর)।
দ্বীনি এই মজমায় প্রতিবছর ৪০ দিনের ইসলাহী প্রোগ্রামে থেকে নিজের আমলের পরিশুদ্ধিসহ দ্বীনের বহু শাখায় উপকৃত হোন আলেম ওলামাসহ সাধারণ মানুষ। রমযানকে পরিপূর্ণ ফলপ্রসূ করতে আপনিও শরিক হতে পারেন বরকতময় এই ইসলাহী মজমায়
