ইসলাম টাইমস ডেস্ক: নদী ভাঙ্গন, বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগ এবং নানা সংঘাতের কারণে গত বছর ২০১৮ সালে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণভাবে ঘরবাড়িছাড়া বা বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের বেশির ভাগ এখন শহরের বস্তি এলাকায় এসে বসবাস করছে।
বাস্তুচ্যুতদের অধিকার ও উন্নয়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গত জুনে হাওরাঞ্চলে হঠাৎ বন্যার কারণে ১২ হাজার ও শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নদীভাঙনের কারণে ৪৪ হাজার মানুষ ঘরবাড়িছাড়া হয়েছে। বাকিরা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে নদীভাঙন, উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অন্যত্র চলে গেছে। এর বাইরে সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩০০ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুতরা মূলত বড় বস্তিগুলোতে ওঠে। ভোলা থেকে নদীভাঙনের শিকার হয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকার মিরপুরে ভোলা বস্তিতে উঠেছে। এ ছাড়া কড়াইল বস্তিসহ রেললাইনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। যেসব বস্তি এলাকায় বাস্তুচ্যুতরা থাকে, সেই এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। ফলে সেখানে নানা ধরনের রোগবালাই দেখা দিচ্ছে।
এদিকে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নদীভাঙন ও নানা দুর্যোগে যারা বাড়িঘরছাড়া হয়, তাদের আমরা অন্যত্র বাড়িঘর করে দিই। কিন্তু তাদের অনেকে সেখানে থাকতে চায় না। আমরা পুনর্বাসন এলাকায় জীবিকার ব্যবস্থা করছি।’
