মুফতী সাইয়েদ আদনান কাকাখাইল।।
আমাদের মধ্যে একটা প্রবণতা দেখা যায়, আমরা সাহরীকে একেবারে শেষ সময় পর্যন্ত নিয়ে যাই। শেষ মূহুর্তে এক আশ্চর্য ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। একদিকে মুআযযিন আযান দেয়ার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছে, আরেক দিকে কেউ চায়ে চুমুক দিচ্ছে। কেউ পানি খাচ্ছে। শেষমেশ এমন অবস্থা হয় যে, অনেক সময় সন্দেহে পড়ে যেতে হয়, রোযা হল কি হল না।
কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিত, সেহরির সর্বশেষ ১৫ মিনিট এটি শুধুই আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময়। এ সময় দোয়া ছাড়া অন্য কিছুতে মশগুল হওয়া মানে অত্যন্ত মূল্যবান কোন জিনিসকে নষ্ট করা। অত্যন্ত দামী ও সুবর্ণ সুযোগকে হাতছাড়া করা।
এজন্য উচিত, নিজের সাহরির রুটিনটা এমন ভাবে তৈরি করুন, যাতে কম সে কম ২০ মিনিট আগে সাহরি খাওয়া শেষ হয়ে যায়।
ঘরের মহিলারা যখন সাহরির জন্য উঠবেন তখন পুরুষদেরকে জাগিয়ে দিবেন। মহিলারা সাহরি প্রস্তুত করতে করতে পুরুষরা তাহাজ্জুদ পড়ে নিবেন।
মহিলাদের উচিত এতটুকু সময় হাতে নিয়ে ওঠা যে রান্নার পাশাপাশি তাহাজ্জুদ পড়া যায়। সাধারণত দেখা যায় রান্নার কারণে তারা তাহাজ্জুদ পড়েন না। এটা উচিত নয়।
সাহরি শেষ করার পর আমাদের হাতে যে ২০ মিনিট সময় থাকবে, ঐ ২০ মিনিটে আমরা আল্লাহর কাছে দোয়ায় মশুগুল হয়ে যাই। পরিবারের সবাইকে এ সময় দোয়ায় মশগুল থাকতে উদ্বুদ্ধ করি। শিশুদেরকে দোয়ায় হাত তুলতে বলি।
যে ঘরের পাকা দাড়িওয়ালারা, সাদা চুলওয়ালারা, যুবক ছেলেরা, কচি শিশুরা এমন বরকতময় সময়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে দোয়া করবে সে ঘরে অবশ্যই আল্লাহর খাস রহমত নাজিল হবে।
