ইসলাম টাইমস ডেস্ক: নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য সত্ত্বেও সম্প্রতি ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের হতাশা ও তাদের অর্থনৈতিক সংকট এবং যত্রতত্র বিশেষত পরিবহনে ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে থাকায় নারীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে ইসলাম টাইমসের লাইভ প্রোগ্রামে আলোচনা হয়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে এগারোটায় প্রচারিত লাইভ প্রোগ্রামে আলোচনা করেন নিউজ পোর্টাল ইসলাম টাইমস-এর সম্পাদক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ।
বহু কষ্টের পর উৎপাদিত ফসলের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় কৃষকদের উদ্বেগ ও হতাশা নিয়ে ইসলাম টাইমসের লাইভ প্রোগ্রামে বলা হয়, কৃষকরা রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কায়িক পরিশ্রম করে ফসল ফলায়। কিন্তু সার, সেচ, মজুরিসহ অন্যান্য খরচ মেটানোর পর ৫০০ বা ৫৫০ টাকা দরে ধান বিক্রি করে যে মূল্য তার হাতে আসে তা কখনো কাঙ্খিত মূল্যের অর্ধেকেরও কম হয়। তাই কৃষকদের মাঝে দিনদিন বাড়ছে উদ্বেগ।
টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় দেখা গেছে এক কৃষক হতাশায় তার পাকা ধানক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।
লাইভ প্রোগ্রামে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষের প্রধানতম খাদ্য হলো ভাত। কৃষি বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় খাত। কিন্তু কৃষিখাত থেকে আস্থা হারিয়ে গ্রামের কৃষকরা যেভাবে দিনদিন শহরমুখী হচ্ছে তাতে আমাদের দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে।
এসময় সরকারের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে এনে ধানের দাম বাড়িয়ে কৃষকদের জীবন বাঁচান এবং বাংলাদেশের কৃষিখাতকে রক্ষার করুন।
অপরদিকে দেশব্যাপী সর্বমহলে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় নারীদের নিরাপত্তাহীনতা বিষয়ে গতরাতের লাইভ প্রোগ্রামে বলা হয়, ধর্ষণের ঘটনা একটি মানবিক সংকট। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী গত কয়েকদিনেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। একজন নারী এখন কোথাও নিজের জীবনকে নিরাপদ ভাবতে পারে না। না ঘরে, না বাইরে। এমনকি পরিবহনেও একের পর এক ঘটে যাচ্ছে ধর্ষণের পর হত্যার মতো করুণ নির্মম ঘটনা।
মানবিক সংকটকে ধর্ষণের অন্যতম কারণ উল্লেখ করে বলা হয়, অশ্লীলতার বিভিন্ন মাধ্যম সহজলভ্য হয়ে ওঠায় নৈতিকতার বাঁধগুলো এখন ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাই দেশের মানুষের সচেতন হওয়া দরকার। প্রশাসনের লোকদের নিজেদের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য হলেও এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
আদালত ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নিয়ে সাবেক স্বাস্থমন্ত্রীর বক্তব্য কোট করে লাইভ প্রোগ্রামে মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলেন, ধর্ষণ বন্ধ করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার। ধর্ষণ বিষয়ে শরিয়তের যে কল্যাণমুখি শাস্তি-ব্যবস্থা তা নিয়ে প্রশাসনের ভাবা দরকার। আর সাধারণ জনগণের তওবা ও কান্নার পাশাপাশি সচেতনতা দরকার। সমাজের মানুষ যেন নিজে ধর্ষকে পরিণত না হয়, কারো পরিবারের কোনো মেয়ে যেন ধর্ষণের শিকার না হয় এ মনোভাব ও প্রস্তুতি প্রত্যেকের থাকা দরকার।
(লাইভ প্রোগ্রামটি দেখতে চাইলে ইসলাম টাইমসের ফেসবুক পেজে যেতে পারেন।)
