ইসলাম টাইমস প্রতিবেদন: ফেনী শহরের অদূরে লালপুলে অবস্থিত ‘জামেয়া ইসলামিয়া সুলতানিয়া’। প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত বুযুর্গ, হাকীমুল উলামা আল্লামা সাঈদ আহমাদ রহ.। বিশিষ্ট খলীফা, মাওলানা শাহ সুলতান আহমাদ নানুপুরী রহ.। জামেয়ার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বরেণ্য এই বুযুর্গের তত্ত্বাবধানে রমযান উপলক্ষে ৪০ দিনের বিশেষ ইতিকাফের আমল চলে আসছে। সাঈদ সাহেব রহ.-এর সেই ধারাবাহিকতায় এবারও ৪০ দিনব্যাপী ইতিকাফের আমল চলমান।
রমযানকেন্দ্রিক ইতিকাফের সার্বিক অবস্থা জানতে জামেয়ার শিক্ষক মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ইসলাম টাইমসকে জানান, মাদরাসার শুরুলগ্ন থেকে মুফতী সাহেব রহ.-এর নেগরানিতে রজবের ২০ তারিখ হতে শেষ রমযান পর্যন্ত ৪০ দিনব্যাপী ইতিকাফের আমল হতো। মুফতী সাহেব রহ.-এর ইন্তিকালের পর এবারের ইতিকাফের কার্যক্রম তার সাহেবজাদা ও খলীফা মাওলানা ক্বারী কাসেম সাহেবের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মু‘তাকিফদের আমলের কার্যক্রম জানতে চাইলে মাওলানা মাহমুদ বলেন, রাত আড়াইটায় জেগে তাহাজ্জুদের নামাজ, ১২ তাসবীহের আমল শেষে সাহরী, ফজর নামাজ ও ঘুম৷ সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠে ২৪ হাজার বার জিকির৷ বাদ জোহর মাসআলা-মাসায়েল এবং নামাজের প্রশিক্ষণ, কুরআনুল কারীমের মশক তারপর আলেমদের জন্য তিনপারা ও সাধারণ মানুষের জন্য দেড়পারা কুরআন তিলাওয়াত। বাদ আছর এক হাজারবার দুরুদ শরীফের আমল ও ইফতারপূর্ব দোয়া।
তিনি আরো বলেন, জামেয়ার বর্তমান মুহতামিম মাওলানা কাসেম সাহেব নিয়মতি তদারকীর পাশাপাশি জরুরী বয়ান করেন। তার অবর্তমানে জামেয়ার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা সালমান সাহেব ইতিকাফকারীদের জিম্মাদার হিসেবে থাকেন৷ উক্ত ইতিকাফে প্রায় দেড় শতাধিক আলেম ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হন৷ এর মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চল, কুমিল্লা ও ফেনীর লোকজন তুলনামূলক বেশী অংশগ্রহণ করে থাকেন৷
