ইসলাম টাইমস ডেস্ক: মোদির ফের মসনদে আরোহণ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে ভারতের মুসলিমরা। মোদি ফের ক্ষমতায় ফিরলেই গ্রাম ছাড়বেন উত্তরপ্রদেশের নয়াবাঁসের কয়েকশো পরিবার। কলকাতা ভিত্তিক একটি দৈনিক পত্রিকা থেকে এমনটি জানা গেছে।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? গ্রামের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষরা জানিয়েছেন, আগের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবি আর গ্রামে নেই। আগে যেখানে হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন একসঙ্গে বাস করতেন৷ জন্ম হোক কিংবা মৃত্যু, বিয়ে হোক বা যে কোনও অনুষ্ঠান–একে অন্যকে পাশে পেতেন সকলে৷
কিন্তু বর্তমানে সেই ছবি পুরোটাই বদলে গিয়েছে৷ এখন আর পথ চলতে দেখা হলেও, কেউ কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন না৷ বিপদে কেউ কারও পাশেও থাকেন না৷
গ্রামেরই এক বাসিন্দা চা দোকানের মালিক গুলফাম আলি বলেন, ‘এর আগে জীবনের দুঃসময় এবং সুসময়ে হিন্দু–মুসলমান সকলে একসঙ্গে থাকতাম৷ যেকোনও অনুষ্ঠানে যেমন একসঙ্গে আনন্দ করেছি৷ তেমনই দুঃখের দিনে একে–অপরের পাশে থেকেছি৷ কিন্তু বর্তমানে আমাদের জীবনধারা কেমন যেন বদলে গিয়েছে৷
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন৷ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ৷ দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিভেদের অন্যতম ‘রূপকার’ও কিন্তু তাঁরা দুজনেই৷’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘হিন্দু–মুসলমানের মধ্যে বিভেদ তৈরি করাই মূল লক্ষ্য দু’জনের৷ এভাবে এই এলাকায় বাস করা যায় না।’ কিন্তু বললেই তো আর বসতভিটে-ব্যবসা ছেড়ে চলে যাওয়া যায় না, তাই যেতে পারছেন না বলেও দাবি তাঁর৷
গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দার বক্তব্য, আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের৷ রমজান পালন করছেন সকলেই৷ অনেকেই আবার বলছেন, রোজা পালন করতেও নাকি বারবার বাধা পাচ্ছেন তাঁরা৷ মাদ্রাসায় মাইকের ব্যবহার বন্ধ করতে নাকি চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের৷ শান্তির জন্য অনেক মাদ্রাসা বাধ্য হয়ে মাইকের ব্যবহার বন্ধও করে দিয়েছে৷ আর তাই আগামী ২৩ মে আবারও বিজেপি ক্ষমতায় আসলে নয়াবাঁস ছাড়ার কথা ইতিমধ্যেই ভেবে ফেলেছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী গ্রামবাসীরা৷
সূত্র: আজকাল
