ইসলাম টাইমস ডেস্ক: গরমকাল ও রমজান মাস এবার একসঙ্গেই। গরমজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ও জটিলতা যেন আমাদের রোযায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ম নেওয়া উচিত। ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত আমাদের নীচের বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে-
পানিশূন্যতা রোধে কীভাবে পানি পান করবেন
রমযানে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে। একসঙ্গে বেশি পানি পান না করে ইফতার ও সেহরির মাঝখানে বারবার পানি পান করা ভালো। শরীরে পানি ধরে রাখে এমন খাবার, যেমন- শসা, কলা, তরমুজ ইত্যাদি খেতে হবে।
ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
গরমে পিএইচের ভারসাম্যহীনতার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এলোমেলো হয়ে যায়। এ কারণে পেটের পীড়া, বদহজম, পেট ফুলে যাওয়া, পাতলা পায়খানার মতো সমস্যা হয়।
তাই শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এমন খাবার খাওয়া যাবে না। ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ধরনের খাবার শরীরকে গরম করে প্রয়োজনীয় পানি বের করে দেয়। এর বদলে উপকারী চর্বি বা কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে। উপকারী চর্বিযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক মাছ, জলপাইয়ের তেল, সূর্যমুখীর তেল ইত্যাদি।
পাশাপাশি সেহরি ও ইফতারে এমন খাবার খেতে হবে, যেগুলো সহজে পরিপাক হয়। যেমন- শাকসবজি, লাল আটার রুটি, ঢেঁকি ছাঁটা চাল, দুধ, ডিম, শিমের বিচি, মুরগির মাংস ইত্যাদি।
মাথাব্যথা রোধে সেহরি ও ইফতারে চা-কফি বর্জন করুন
মাথাব্যথা রোধে সেহরি ও ইফতারে চা-কফি, কোমল পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এগুলো মূত্রবর্ধক। এসব খাবার শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, শুকনো ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
রোযাদারের আরামের জন্য দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করা যেতে পারে। সুতি ও হালকা রঙের কাপড় পরা যেতে পারে।
বরফ দেওয়া পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন
রমযানে অনেকেই ইফতারের সময় বেশি বেশি বরফ দেওয়া পানি পান করেন। এটি করা যাবে না। এই ঠাণ্ডা পানি রোজাদারদের রক্তনালির সংকোচন বাড়িয়ে হজমে সমস্যা করে। তাই ইফতার ও সেহরিতে বরফযুক্ত পানি পান না করে সাধারণ তাপমাত্রার পানি পান করুন।
বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন
গরমে আবহাওয়ায় খাবার দ্রুত পচে যায়। এতে ফুড পয়জনিং বা খাদ্যের বিষক্রিয়ার সমস্যা হয়। তাই ইফতার বা সেহরির সময় বাইরের খাবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। গরম গরম খাবার খেতে হবে। যারা খাদ্য রান্না ও সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত, তারা কতটুকু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলছে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
