ইসলাম টাইমস ডেস্ক: কমলাপুরে ঈদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনেও দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন ও মানুষের ভোগান্তি। আজ ৩ জুনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
তবে আজ শনিবার সকাল থেকেই টিকিট প্রদানের গতি ধীর বলে অভিযোগ তুলেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য শুক্রবার রাত থেকেই কমলাপুরে অপেক্ষায় ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়তে থাকে।
টিকিটপ্রত্যাশীরা বলছেন, অতিরিক্ত চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে বাড়তি কাউন্টার খোলাও দরকার ছিল এবং সকালে আরও দুই ঘণ্টা আগে টিকিট বিক্রি শুরু করা গেলে মানুষের ভোগান্তি কম হতো। পাশাপাশি প্রতিদিন যে টিকিটগুলো থেকে যায়, কালোবাজারি বন্ধে সেগুলো প্রদর্শনের ব্যবস্থার দাবিও জানানো হয়।
অন্যদিকে নারী যাত্রীরা অভিযোগ করেন, কাউন্টার কম হওয়ায় তাদের দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার কারণেই ভোগান্তি বেড়েছে বলে জানায় টিকিটপ্রত্যাশীরা।
টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনেও বহু মানুষ টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন হতাশ হয়ে। অনেকেই আজকের জন্য থেকে গেছেন লাইনে। আর অনলাইনে টিকিট কাটা নিয়ে আগের মতোই অভিযোগ করে গেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা।
তারা জানিয়েছেন, অ্যাপে লগইন করলেই নোটিশ আসে অপেক্ষা করার জন্য। সে অপেক্ষা ঘণ্টার পর ঘণ্টাতেও শেষ হয় না। আর অ্যাপে টিকিট না পেয়ে তারা ছুটে এসেছেন কাউন্টারে।
তবে রেলপথ সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, টিকিট সীমিত। সীমিত টিকিট সবাই পাবে না এটাই স্বাভাবিক। সীমিত টিকিটের বিপরীতে কাউন্টারের সামনে শত শত লোক দাঁড়াচ্ছে। অপরদিকে অ্যাপসে আরো সীমিত টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
কিন্তু ওই সীমিত টিকিটের বিপরীতে হাজার হাজার লোক অ্যাপসটিতে হিট করছে। কোনো ক্ষেত্রে ধীরগতি হলেও অ্যাপস থেকে যথাযথ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
