আবু দারদা ।।
রমযানের শেষ দশকের উৎকৃষ্ট আমল সমূহের একটি হলো ইতিকাফ। আল্লাহর অশেষ নৈকট্য লাভের ইবাদত এই ইতিকাফ। মাহে রমযানের মর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে কদরের রাত প্রাপ্তির সুনিশ্চিত প্রত্যাশায় সর্বোপরি মহান আল্লাহর একান্ত নৈকট্য লাভের জন্য রমযানের শেষ দশকের ইতিকাফ করা সুন্নাত৷ শেষ দশকের সুন্নাত ইতিকাফকে কেন্দ্র করে বুযুর্গদের সান্নিধ্যে উপকৃত হন বহু মানুষ।
আজ আমরা এমনি একজন নিভৃতচারী আলেমের ইতিকাফের কথা বলবো৷
মারকাযুদ দাওয়া আল ইসলামিয়া হযরতপুর, কেরানীগঞ্জ। মারকায প্রাঙ্গণের মসজিদে সুন্নত ইতিকাফ করেন বিশিষ্ট হাদীস বিশারদ মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব। ইতিকাফ এবং বর্ষীয়ান এই আলেমকে কেন্দ্র করে আলেম ও সাধারণ দীনদার মিলে প্রায় ৪০ জন লোকের জমায়েত হয় মারকাযের মসজিদে৷
![](https://islamtime24.com/wp-content/uploads/2019/05/61572899_323799321874344_6888033683333185536_n-300x139.jpg)
মারকাযের ইতিকাফ বিষয়ে আলাপকালে মারকাযের শিক্ষার্থী মাওলানা এনাম হাসান জুনাইদ জানান, হযরতপুরে মারকায প্রতিষ্ঠত হওয়ার পর থেকেই মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ তার সান্নিধ্যে থেকে রমযানের শেষ দশক ইতিকাফে কাটাতে আগ্রহ পোষণ করেন। কিন্তু মসজিদে জায়গার সঙ্কুলান কম থাকার কারণে অনেকে অনুমতি পান না৷
ইতিকাফে বিশেষ কোন আমল হয় কিনা জানতে চাইলে সূত্র জানায়, বেজোর রাত্রিতে শবে কদরের তলবে রাতভর আমলে থাকেন ইতিকাফকারীগণ। এছাড়া বাদ যোহর আকাবীর-আসলাফদের কিতাবাদী থেকে তালীম হয়৷ বাদ তারাবীহ মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবের আচ্ছন্নময় বয়ানসহ মারকাযের মুদীর মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ এবং মাওলানা যাকারিয়া আব্দুল্লাহ সাহেব বয়ান করে থাকেন৷
মাওলানা এনাম আরোও জানান, মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব সম্মিলিত আমলের চেয়ে একাকী আমলের প্রতি বেশি উদ্বুদ্ধ করে থাকেন। সবচেয়ে বড় আমল থাকে অনর্থক কথা না বলা। প্রত্যেকে নিজ নিজ আমলে ব্যস্ত থাকেন। এতে মজলিস থাকে প্রশান্তিময়।
![](https://www.islamtime24.com/wp-content/uploads/2021/03/20210308_200803-scaled.jpg)