বুযুর্গদের ইতিকাফ : জীবনের সৌরভ মিরপুরের মোল্লাহ মসজিদ

ইসলাম টাইমস প্রতিবেদন: রমযান প্রশিক্ষণের মাস৷ জীবন বদলের মাস৷ পাপ-পঙ্কিলতাময় জীবন মহিমান্বিত রমযানের সৌরভে আলোকিত হয়ে উঠে। আল্লাহর রঙে রঙিন হয়৷ বেপরোয়া জীবনযাত্রাকে পরিশীলিত করে তুলে৷ আল্লাহওয়ালাদের সান্নিধ্য গ্রহণে আরও পরিমার্জিত ও সুন্দর হয়৷ রহমতের অবারিত বারিধারায় স্নিগ্ধ হয় মন ও মনন৷

আজ আমরা এমন একটি আলোকিত মজলিসের কথা বলবো যেখানে আশা ও শুদ্ধতার তরঙ্গ নিয়ে বহু মানুষ একত্রিত হন৷ নেককার লোকদের সান্নিধ্য গ্রহণ করে অধ্যাতিক বিভা হাসিল করেন৷ রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১২-এর ‘বায়তুল জান্নাত মোল্লাহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ’৷ দীনি নানান শাখায় খিদমাতের কারণে লোকমুখে পরিচিত একটি জায়গা। মসজিদে আলোর বিভা ছড়ান দায়িত্বশীল খতিব, মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকার উস্তাজ মাওলানা ইয়াহইয়া সাহেব। খলীফা, হযরতওয়ালা শাহ আব্দুল মতিন বিন হোসাইন।

জানা গেছে, রমযানকেন্দ্রিক এই মসজিদে হয় নানান আমলের প্রশিক্ষণ। এরমধ্যে প্রতিদিন রমযানে ‘কুরআন ও নামাজ শিক্ষার আসর’ অন্যতম৷ এছাড়াও শেষ দশকের ইতিকাফে জমায়েত হন সবশ্রেণীর মোট ৪০০ মানুষ।

মোল্লাহ মসজিদের ইতিকাফ নিয়ে সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে ইতিকাফকারী সাথী মাহদী হাসান বলেন, সকাল ১১ টা থেকে আমল মশক হয়৷ বাদ যোহর খতিব সাহেবের বয়ানের পর ব্যক্তিগত আমল এবং বাদ আছর আলেমদের তত্ত্বাবধানে হয় কুরআনুল কারীমের মশক৷ তারাবীহ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। যারা রাত্রি জাগরণের আমল করেন তারা মসজিদের তৃতীয় তলায় থাকেন৷ সেখানে শেষরাতে খতিব সাহেব কিছু সময় বযান করেন৷ মসজিদের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিশ্রামের জন্য রাখা হয়৷

আরো জানা যায়, ইতিকাফকারীদের খেদমতের দায়িত্বে থাকেন স্কুল-কলেজের স্থানীয় প্রায় ৩০-৪০ জন জেনারেল ছাত্র। যারা মসজিদ ও মুসল্লীদের মনেপ্রাণে খেদমত করে থাকেন৷ এই যুবকগণ নেককারদের সান্নিধ্যের সৌরভে এসে জীবন বদলে ফেলেন৷ অল্প কয়েকদিন মসজিদে অবস্থান ও নেককার লোকদের সান্নিধ্য তাদের জীবনের মোড়কে ঘুরিয়ে দেয়৷ হয়ে উঠে আলোকিত মানুষ।

পূর্ববর্তি সংবাদএবার ভারতে টুপি পরার অপরাধে মুসলিম যুবককে হেনস্থা
পরবর্তি সংবাদতাপপ্রবাহ আরও দু–এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে