ইসলাম টাইমস ডেস্ক: বাংলাদেশে দিনদিন আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে ইসকন-এর প্রভাব। ভক্ত অনুসারির সংখ্যার বিচারে, আচার অনুষ্ঠান আয়োজনে এবং প্রচার প্রাচরণায় কেন্দ্র ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। এমনকি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের লোক নিয়োগের আবদারও বাড়ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শুরু হওয়া শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ইসকনের ভক্ত-অনুসারি বা দীক্ষিত এমন কমপক্ষে তিন জনকে নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে সংগঠনটির। এ ছাড়াও বুয়েট, কুয়েট, বাকৃবিসহ দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উপর বিভিন্ন পর্যায়ের চাপ প্রয়োগ করে ইসকন ভক্ত অনেক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসকনের কেন্দ্রীয় স্বামীবাগ আশ্রমের ব্রহ্মচারী ঈশ্বর গৌরহরিদাস এসব তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
হিন্দুদের এক দেবতা কৃষ্ণকে ভক্তির নতুন ধারা নিয়ে সৃষ্ট এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু ১৯৬৬ সালে নিউ ইয়র্কে। যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এসি ভক্তিভেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। তবে বাংলাদেশে ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে প্রথম ১৯৭৫ সালে আয়ারল্যান্ডের একজন ও কানাডার দুই নাগরিক আসেন। প্রথমে তারা ঢাকার ৬১ তেজকুনিপড়ায় অফিস খুলে কার্যক্রম শুরু করেন। বিভিন্ন সময় বিতাড়িত হওয়া ও পুন:গমন প্রক্রিয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশে তাদের মন্দিরের সংখ্যা ৭১টি। যেখানে এ সংখ্যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ৩১। অথচ, ইসকনের কেন্দ্রীয় দপ্তর ভারতেই এখন পর্যন্ত ইসকনের মন্দিরের সংখ্যা ৬৪টি।
ফলে তুলনামূলক বিচারে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে ইসকনের প্রচার ও প্রসার অনেকটাই বেড়েছে জানিয়ে সংগঠনটির সাবেক সম্পাদক কৃষ্ণ কির্তন আচার্য বলেন, ভারতে হিন্দু বেশি কিন্তু ধার্মিক হিন্দু কম। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে ইসকনের প্রসারটাও বেশি হচ্ছে।
প্রচারের কৌশল: প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে কির্তন পরিবেশনাকে। স্বামীবাগ আশ্রম ও মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তাদের কির্তন পরিবেশনার দল। সাথে গীতা থেকে পাঠ ও আলোচনার আয়োজন করছে তারা।
সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর
