ইসলাম টাইমস ডেস্ক: গত রবিবার বায়তুল মোকাররমের পিলার গায়েবের অভিযোগে আটক করা দোকান মালিক শায়লা আক্তারকে শুধু মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তার স্বামী আওয়ামী লীগের নেতা সোহরাব হোসেন গাজী এখনো রয়েছেন অধরা।
সোমবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমের নিউ সুপার মার্কেটের সেই এইচ-৬ নম্বর দোকানটিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার মূল পিলারটি প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করে ফাউন্ডেশন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় এইচ-৬ নম্বর দোকানের মালিক আওয়ামী লীগের বায়তুল মোকাররম ইউনিট শাখার সভাপতি মো. সোহরাব হোসেন গাজীর স্ত্রী শায়লা আক্তারকে রবিবার সন্ধ্যায় তার পল্টনের বাসা থেকে আটক করে পল্টন থানাপুলিশ।
অবশ্য তদবিরের চাপে ও নারী বিবেচনায় মুচলেকা নিয়ে রাত ১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুচলেকায় শায়লা আক্তার অঙ্গীকার করেছেন যে, ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির ভারবাহী মূল যে পিলার ও দেয়াল তিনি ভেঙেছেন, সেটি দ্রুত প্রতিস্থাপন এবং যাবতীয় ক্ষতিপূরণ দেবেন। পাশাপাশি দোকানটিও তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে দেবেন।
তিনি ছাড়া পাওয়ার পর সোমবার দোকানটি বুঝে নেয় ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। গতকাল বায়তুল মোকররম নিউ সুপার মার্কেটে গিয়ে দোকানটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তালা দেখা গেছে দোকানের সব কটি সাটারে। তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের নেতা সোহরাব হোসেন গাজী এখনো রয়েছেন অধরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (মসজিদ ও মার্কেট বিভাগ) মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, রাতের আঁধারে লোড বিয়ারিং পিলার অপসারণ করে যে দোকানটির পরিসর বাড়ানো হয়েছিল, সেটি বুঝে নিয়েছি আমরা।
গতকাল সকাল থেকে পিলারটি প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। দোকান মালিক শায়লা আক্তারকে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিষয়। তারাই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
