মুকিম আহমাদ ।। মালয়েশিয়া থেকে
কুরআন নিয়ে মালয় মুসলমানদের বছরব্যাপী থাকে নানারকম আয়োজন। সাধারণত মালায় মুসলমানরা স্থানীয় ভাষায় ধ্বনিগত কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে আরবী কিছু হরফের উচ্চারণে অপূর্ণতা ছাড়া সামগ্রিকভাবে কুরআন পড়তে জানেন এবং তাজবীদে মোটামুটি পারদর্শী, ফলে তারাবিতে তাদের ইমাম বাছাইয়ে কণ্ঠস্বর আর তারান্নুমের পাশাপাশি তাজবীদকেও প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মালয়েশিয়ার বড় কয়েকটি মসজিদে বাংলাদেশি হাফেজ সাহেবগণ তারাবির ইমামতির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মাঝে অন্যতম হলেন বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার হাফেজ মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ। তিনি সেলাঙ্গর প্রদেশের কাজাং শহরের “মাসজিদ আল ফালাহ” তে তারাবির ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকার হাফেজ মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক নেগেরী সিম্বিলান প্রদেশের “মাসজিদ নেগেরীতে” তারাবির ইমাম হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। চট্টগ্রামের হাফেজ মাওলানা খলীল মুহাম্মদ উসমান বান্তিংয়ের “মাসজিদ জামেউল ইহসানী”তে তারাবি পড়ান৷
এছাড়া আরো অনেকেই বিভিন্নভাবে তারাবিহ পড়ান। যেখানে বিশেষত প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহণ করে থাকেন৷ চট্টগ্রামের হাফেজ সাইফুল ইসলাম চেরাসের সুরাও আশ শাফেয়ীতে তারাবিহ পড়াচ্ছেন। ফতুল্লার হাফেজ মাওলানা আব্দুল জলীল চেরাসের সুরাও আল ইমানে তারাবির ইমামতির দায়িত্ব পালন করছেন। শহীদবাড়িয়ার হাফেজ মাওলানা ইব্রাহীম খলীল রাজধানী কুয়ালালামপুরের প্রবাসী এবং পর্যটকদের প্রাণকেন্দ্র বুকিত বিন্তাংয়ের সুরাও আল-খায়েরে তারাবী পড়ান। আরবদের পাশাপাশি বাংলাদেশী হাফেজ সাহেবগণ তাহফীজের সাথে সাথে বিভিন্ন মসজিদ এবং সুরাওতে সম্মান ও সুনামের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন ।
