ইসলাম টাইমস প্রতিবেদন: বাংলাদেশে যে সকল পীর-মাশায়েখ উম্মতের আত্মশুদ্ধির লক্ষ্যে নিরসল সাধনা করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মাওলানা আবদুল মতিন বিন হুসাইন সাহেব। তাসাউফের পুণ্যময় জগতের রাহবার আরেফবিল্লাহ্ হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আখতার ছাহেব রহ.-এর বিশিষ্ট খলিফা। খানকাহে এমদাদিয়া আশরাফিয়া আখাতারিয়া ঢালকাগনরের পরিচালক। খানকাহে ইমদাদিয়ায় রমযান ছাড়াও বছরব্যাপী ইসলাহী কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
রমযানকেন্দ্রিক ইতিকাফের আমল নিয়ে কথা হয় খানকাহ সংশ্লিষ্ট ও মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেবের খলিফা মুফতী শহীদুস সালামের সাথে৷
তিনি ইসলাম টাইমসকে জানান, রমযানে ঢালকানগরের ছাপড়া মসজিদে প্রায় ৩০০ জনের মতো সালেকীন অবস্থান করেন৷ তাদের মধ্যে ইখতিয়ার থাকে যে যার সুবিধামতো নফল বা সুন্নত ইতিকাফ করেন৷ হযরত বাদ তারাবীহ বয়ান করেন৷ তিনি আরো জানান, কয়েক বছর যাবত দেখে আসছি হযরত ঢালকানগর তারাবীতে কুরআন শরীফ খতম শেষ হলে মিরপুর ১২ -তে মাওলানা ইয়াহইয়া সাহেবের মসজিদে একরাত অবস্থান করেন৷ এবং বয়ান করেন৷ সাহরী খেয়ে আবার ঢালকানগরের খানকায় চলে আসেন৷
রমযানে ইতিকাফকারীদের বিশেষ কোন আমল দেয়া হয় কিনা জানতে চাইলে মুফতি শহীদ বলেন, রমযানে যারা থাকেন তাদের জন্য বিশেষ কোন আমল দেয়া হয় না৷ সারাবছর যে আমল দেয়া থাকে একই আমল ইতিকাফকারীদের জন্য। হযরত শুধু বলেন, ‘গোনাহ থেকে বাঁচো, গোনাহের কাজ থেকে বেঁচে চলো৷’ লম্বা কোন তাসবীহ-দোয়া বা তাহাজ্জুদের উপর কোন জোর দেয়া হয় না৷ স্বাভাবিকভাবে সারাবছর যে আমল থাকে রমযানে একই আমল হয়ে থাকে৷ বাড়তি কোন পরিবর্তন থাকে না৷
