এনাম হাসান জুনাইদ ।।
টেবিলের উপর এভাবে বিভিন্ন বিস্কুট, পানীয়, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডারসহ বিভিন্ন জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হেলালুদ্দীন (২৫)।
টেবিলটি ঘিরে বসেছে একটা জটলা। কেউ এসেছে দেখার জন্যে কী হচ্ছে আর কেউ এসেছে লটারি ধরার জন্যে।
কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই জানা গেল, এটা একটা খেলা। এর মাধ্যমে আপনি ২ টাকা ৬ টাকা ১০ টাকা দিয়ে পেতে পারেন ষাট টাকার লিকুইড ভিম। অন্যথায় আপনার পুরা টাকাটাই মারা যেতে পারে।
টেবিলের পাশেই একটি চেয়ারে দেখা গেল এক ক্রেট ডিম। হেলালুদ্দীন বললেন, এই ডিম দিয়ে খেলায় অংশ গ্রহণ করা যায়। ২টাকা দিয়ে লটারি ধরে আপনি দশ টাকার একটি ডিম পেতে পারেন আবার কিছু নাও পেতে পারেন।
এ দৃশ্য শুধু এক জায়গায় নয়, সম্প্রতি ঈদকে কেন্দ্র করে এ দৃশ্য রাজধানীর প্রায় বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে। হেলালুদ্দীন বললেন, ‘জাস্ট এটা একটা খেলা। শুধুই সময় পাস করার জন্যে এটা খেলছি।’ এসব খেলা সম্পর্কে বিক্রমপুর বাদশাহী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মাহমুদ হাসান বলেন, এসব খেলা হচ্ছে জুয়া। পবিত্র কুরআনে জুয়া হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
মাওলানা মাহমুদ আরো বলেন, জুয়া তো সব সময় হারাম। বিশেষত ঈদ উপলক্ষে এ সকল জিনিস হারাম হওয়া টা আরো মারাত্মক হয়ে যায়। এই হারাম কাজের গুনাহ আরও বহুগুণ বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, প্রত্যেক দায়িত্বশীল অভিভাবকের উচিত, ঈদের সময় গুলোতে তাদের সন্তানরা কি করছেন কোথায় যাচ্ছেন এগুলোর খবর নেওয়া। সন্তানরা যেন তাদের ঈদ বখশিসের টাকাগুলো জুয়া খেলায় ব্যয় না করে সেদিকে খেয়াল করা ও সতর্ক দৃষ্টি রাখা।
