ইসলাম টাইমস ডেস্ক: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে আটকে দিয়েছে কাতার ইমিগ্রেশন। পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়ায় তাকে দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়।
এ দিকে পাসপোর্ট পাঠাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে রিজেন্ট এয়ারলাইন্সে তার পাসপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের ডিজিএম (এয়ারপোর্ট সার্ভিস) কেম এম আখজারুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় দোহাগামী তাদের শিডিউল ফ্লাইটে পাসপোর্টটি পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, পাসপোর্ট ছাড়া তিনি কেন যাচ্ছিলেন, তা নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।
জানা গেছে, বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বুধবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। বিশেষ এই বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান, যেটি ধরা পড়ে সে দেশের ইমিগ্রেশনে। পরে তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে রাখা হয়।
এ দিকে পাসপোর্ট ছাড়া একজন পাইলট কীভাবে নিজ দেশের ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিদেশ গেলেন এটি নিয়ে তোলপাড় চলছে। আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ছাড়া দেশত্যাগ ও অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহিবুল হক জানান, বিষয়টি ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের ব্যক্তিগত গাফিলতি। তিনি দেশে ফিরে আসার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
