রাত পোহাতে সত্যিই কি দেরি পাঞ্জেরী!

শরীফ মুহাম্মদ ।।

.. কবি কিছু বললেন না, শুধু একটু খানি হেসে বললেন, শোন, আমার ‘ডাহুক’ কবিতা নিয়ে দিগগজেরা তো মহা চিন্তায় পড়ে গেল। ‘ওড টু স্কাই লার্ক’ ‘ওড টু নাইটিঙ্গেল’-কোনটার সাথেই মেলাতে পারে না। কিন্তু ওরা তো কথার বেপারী। তালে-গোলে মিলিয়ে দিয়ে সাব্যস্ত করে ছাড়ল যে, ‘ডাহুক’ আদৌ মৌলিক কবিতা নয়। ঠিক নকল না হলেও ভাবানুকরণ ইত্যাদি। আরে, ওরা কোথা থেকে জানবে বল? ওরা তো খালি বইয়ের পাতায় জীবনের মানে খুঁজে বেড়ায়-ভুল মানেকে সঠিক মানে ভেবে নিয়ে বগল বাজায়। তুই তো জানিস, মুজাদ্দিদী তরীকায় জিকির কি জিনিস। ‘ডাহুক’ রাতভর ডেকে ডেকে গলায় রক্ত ওঠায়। মুজাদ্দিদী সাধকও তেমনি রাতভর ‘আল্লাহু-আল্লাহু’ জিকির করে নিজেকে ফানা করে দেন। গভীর রাতে নীরব-নির্জন কোনো গ্রাম্য মসজিদে মুজাদ্দিদী তরীকার কোনো সাধক যখন ‘আল্লাহু-আল্লাহু’ জিকির করতে থাকেন, তখন মনে হয় অবিকল যেন একটা ডাহুক এক মনে ডেকে চলেছে। আমার ‘ডাহুক’ কবিতা এই ধরনের মুজাদ্দিদী সাধকের জিকির নিয়েই রচিত। স্কাইলার্ক কিংবা নাইটিঙ্গেলের সাথে তার মিল থাকবে কোত্থেকে?’

সাংবাদিক কলামিস্ট আখতার-উল-আলমের একটি লেখায় বাংলা ভাষার ও বাংলাদেশের একজন কবির এই অভিব্যক্তিটি পেয়েছি। ‘যুগ-প্রবর্তক কবি’ শিরোনামে সে প্রবন্ধটি গ্রন্থভুক্ত হয়েছে শাহাবুদ্দীন আহমদ সম্পাদিত ‘ফররুখ আহমদ : ব্যক্তি ও কবি’ গ্রন্থে।

দুই.

একই কবি সম্পর্কে পরবর্তী সময়ের আরেক বিখ্যাত কবি শামসুর রাহমান লিখেছেন ওই কবির ওফাতের পর পর-

‘দারিদ্র তাঁর শরীরকে ক্ষইয়ে দিয়েছিল ভীষণভাবে, কিন্তু কখনও কামড় বসাতে পারেনি তাঁর মনের ওপর। তাঁর মতো অসামান্য কবি খুবই সামান্য একটা চাকরি করতেন। মাইনে পেতেন মাত্র ছ’ সাত শ’ টাকা; অথচ তাঁর ঘরে বার-তের জন পুষ্যি। আজকের দিনে এই ক’টি টাকায় কি করে চালানো সম্ভব এত বড় সংসার?

দারিদ্র ম্লান করে দিয়েছিল তাঁর সংসারের সুখ। পয়সা কামানোর দিকে কখনও মন ছিল না তাঁর। পারলে তিনি হয়তো চাকরিও করতেন না কখনও। ধরা-বাঁধা চাকরি করার মানসিকতা তাঁর ছিল না। তিনি ছিলেন ভিন্ন ধাতুতে গড়া। তাই যখন তাঁকে রেডিও অফিসে দেখতাম একজন সামান্য চাকুরে হিসেবে, আমার কেমন যেন খটকা লাগতো। সেখানে বড় বেমানান লাগতো ফররুখ আহমদকে। …

আমার সেই কর্মজীবনের একমাত্র আনন্দ ছিল ফররুখ আহমদের সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেওয়া। মতাদর্শের দিক থেকে আমরা অবস্থান করতাম দুই বিপরীত মেরুতে। আমি জানতাম, তাঁর ঝাঁঝালো রাজনৈতিক মতাদর্শের কথা, তাঁর অসহিষ্ণুতার কথা-কিন্তু এর কোনোটাই সে সময় আমার আর তাঁর সম্পর্কের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। তিনিও ভালো করেই জানতেন, আমার বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের কথা, আমার রাজনৈতিক মতামতের কথা। তাঁর সঙ্গে কখনও আমার কোনো রাজনৈতিক সংলাপ হয়নি। তিনি এড়িয়ে যেতেন, আমিও তাঁকে রাজনৈতিক তর্ক জুড়তে প্ররোচিত করিনি কোনো দিন। আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা মেতে থাকতাম সাহিত্যালোচনায়। …

ফররুখ আহমদ কোনো ব্যাংক-ব্যালেন্স রেখে যাননি। রেখে যাননি কোনো জমিজমা। তাঁর চিরনিদ্রার এতটুকু ঠাঁইয়ের জন্য জমি খুঁজতে গিয়েও বিড়ম্বিত হতে হয়েছে তাঁর অনুরাগীদের। শেষ পর্যন্ত উজ্জ্বল উদ্ধার হয়ে এলেন কবি বেনজীর আহমদ। তিনি বললেন, আমি আমার ফররুখ ভাইকে নিয়ে যাব আমার ডেরায়। একজন কবিকে কবরস্থ করা হল অন্য এক কবির বসতবাড়ির সীমানায়। তাঁর কবরের জমি নিয়ে যত ঝামেলাই হোক, তাঁর সন্তানেরা যত বঞ্চিতই হোক পার্থিব জমিজমা থেকে, তিনি রেখে গেছেন অন্য রকম বিঘা বিঘা জমি-যে জমির ফসল দেখে চোখ জুড়াবে সাহিত্য-পথযাত্রীদের। এই সমৃদ্ধ জমি পেছনে রেখে তিনি নিজে যাত্রা করেছেন নতুন রহস্যময় পানিতে, নিরুদ্দেশ সফরে।’

তিন.

আজকের বর্ষীয়ান আলেম লেখক, মাসিক মদীনা সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লিখেছেন-দার্শনিক কবি ইকবালের ভাষায়, ‘যে কথা আত্মার গভীর থেকে বের হয়ে আসে, তা সহজেই অন্তর স্পর্শ করে।’ ঈমান-সমৃদ্ধ আত্মার অধিকারী কবিদের অভিহিত করা হয়েছে ‘তালামিযাতুর রহমান’-দয়াময় আল্লাহর ছাত্র নামে। রূমী, জামী, সাদী, নিযামী, ইকবাল প্রমুখ ঈমানদীপ্ত কবিকণ্ঠগুলো বোধ হয় এরই বাস্তব প্রমাণ। কবি ফররুখ ছিলেন এসব কবিকণ্ঠেরই প্রতিধ্বনি। রূমীর মসনবী, জামীর গযল, সাদীর খন্ড কবিতা এবং ইকবালের বক্তব্য প্রধান লেখা ছিল তাঁর আত্মার খোরাক। সাদীকে তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ লোকশিক্ষক বলে অভিহিত করতেন। তাঁর পরিচ্ছন্ন আত্মার মুকুরে উল্লিখিত কবিদের মরমী বাণীগুলো এক আশ্চর্য বিভায় প্রতিবিম্বিত হত। এঁদের আলোচনা করার সময় তিনি যেন কোন এক সুদূরে হারিয়ে যেতেন।

বাহ্যিক বেশভূষা থেকে শুরু করে আচার-আচরণ এবং জীবনযাত্রার সর্বক্ষেত্রেই সুন্নত তরিকা সাধ্যমত অনুসরণের মাধ্যমে তাঁর ঈমানের অভিব্যক্তি মূর্ত হয়ে উঠত। যা তিনি বলতেন বা লিখতেন, তা নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করতেন। বক্তব্যের সাথে বিশ্বাস এবং আচরণের এ বাস্তব সামঞ্জস্যই তাঁর ব্যক্তিত্বকে আপসহীন করে তুলেছিল। সমকালীন সতীর্থ বুদ্ধিজীবীদের কারো কারো মুনাফেকী আচরণ তাঁকে দারুণভাবে ব্যথিত করত। অনেক সময় অসহিষ্ণু করে তুলত। অনেকের মুখের উপরই তিনি তাঁকে সে ব্যথার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে ছাড়তেন না। এ ব্যাপারটা আমাদের মতো নিরীহ অনুসারীদেরকেও বিব্রত করত। তবে এতটুকু অনুভব করে আমরা সান্ত্বনা গ্রহণ করতাম যে, হাদীসের ভাষায় মুমিনের অনুরাগ এবং বিরাগ উভয়টাই হয়ে থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে। আরবীতে যাকে বলা হয় হুববুলিল্লাহ ও বুগযুলিল্লাহ।

… আমার প্রথম অনুদিত বই আল্লামা শিবলী নোমানীর ‘আল-ফারূক’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৬ সালে। বাঁধাইখানা থেকে প্রথম বইটি নিয়ে যখন তাঁর হাতে তুলে দেই, সেদিনের বিশেষ সে মুহূর্তটির স্মৃতি চিরদিন আমার জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। সুদৃশ্য মলাটে-শোভিত এই বৃহদাকার বইটি হাতে নিয়ে তিনি আনন্দে এমন আত্মহারা হয়ে পড়েছিলেন যে, আবেগে কিছুক্ষণের জন্য তাঁর বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ নীরব থেকে তিনি ভরা গলায় বলেছিলেন, ‘আল্লাহর শুকুর, আমার বহুদিনের আকাঙ্খিত এ বই পড়বার সুযোগ হয়েছে।’

চার.

উপরের তিনটি অংশের মতো এ দেশের ডান-বাম ও ইসলামী লেখক, কবি-সাহিত্যিকের বহু মূল্যায়ণ ও স্মৃতিচারণ যখন পড়ি তখন আমি যেন প্রতিভাদীপ্ত, ত্যাগী, আদর্শবান কবি ফররুখ আহমদকেই দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছিলাম। পড়তে পড়তে তাঁকে ছুঁয়ে দেখার আকাঙ্খা তীব্র হয়ে ওঠেছিল আমার মাঝে। অক্ষম সে আকাঙ্খা এক সময় গমক গমক কান্নায় পরিণত হয়েছিল। ১৯৯৩ কিংবা ৯৪ সনের কথা এটি। আজ থেকে চৌদ্দ কিংবা পনের বছর আগের এক রমযান মাস। মরহুম শাহাবুদ্দীন আহমদ সম্পাদিত গ্রন্থটির সাহায্যে কবি ফররুখের বিহবল ও অনুরক্ত ভক্ত বনে যাই। আমাদের কাছাকাছি কাল ও সময়ের মধ্যে এমন একজন অসাধারণ কাব্য নায়কের অস্তিত্ব অনুভব করে রোমাঞ্চিত হই। কল্পকথা, গল্প-উপন্যাস কিংবা ইতিহাসের দুর্লভ চরিত্রে যেসব মহত্বের পলেস্তরা থাকে তার একটি আস্ত ও বাস্তব নমুনা এই কিছুদিন আগেও এদেশে এবং এ-ভাষা ও সাহিত্যে উজ্জ্বল ছিল-ভাবতে পেরে সাংঘাতিক আলোড়িত হই। সে রমযানেই  এক দুপুরে আমার তৎকালীন ঠিকানায় বেড়াতে আসা বন্ধু মাওলানা মুহাম্মাদকে সঙ্গে নিয়ে শাহজাহানপুরে কবি বেনজীরের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। শাহজাহানপুরে পৌঁছে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুজি শেষে মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন গোরস্থানটির সন্ধান পাই। সেখানে কবি ফররুখ আহমদ ও কবি বেনজীর আহমদের কবর পাশাপাশি। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে যিয়ারত করি। বাস্তবে ছুঁয়ে দেখা কিংবা মুখোমুখি দাঁড়ানোর মতো সুযোগ না পাওয়ার আকুতি যিয়ারতপর্বেই সম্পন্ন করার চেষ্টা করি।

প্রতিভা, বিশ্বাস, সততা ও ত্যাগের সৌন্দর্য দিয়ে কবি ফররুখ জীবনের যে সাদা পাতা মেলে রেখে গিয়েছেন, আমার বিশ্বাস, উত্তরকালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-পথযাত্রীর যে কারো তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত ঘটলে চোখের-বুকের অশ্রু নিয়ে তিনি অবশ্যই তাঁর জন্য দু’হাত তুলে ধরবেন মহান আল্লাহর দরবারে।

পাঁচ.

‘সাত সাগরের মাঝি, সিরাজাম মুনীরা, নৌফেল ও হাতেম প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কবি ফররুখ আহমদের কর্মজীবনের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ কেটেছে নাজিমউদ্দীন রোডের তৎকালীন রেডিও অফিসে।  এখন  যেটি  শেখ বোরহানুদ্দীন কলেজ। সেই অফিসের সামনেই ছিল আবন মিয়া কিংবা আবুল মিয়ার হোটেল। এখানেই বসত কবির আড্ডা এবং আসর। বহু কবি-লেখকের স্মৃতিচারণে আবন মিয়ার এই হোটেলে কবি ফররুখের পক্ষ থেকে আপ্যায়িত হওয়ার বর্ণনা পাওয়া যায়। সেই আবন মিয়াকে পেলে ফররুখ সম্পর্কে আরো বহু কথাই হয়তো জানা যাবে-এই আশায় একদিন গেলাম নাজিমউদ্দীন রোডে।

সেই ‘৯৩-‘৯৪ সনেই। বোরহানুদ্দীন কলেজের উল্টো দিকে তখন কোনো হোটেল পেলাম না। দু-একটি মুদির দোকানে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম-আবন মিয়া এখন আর কোথাও হোটেলের ব্যবসা করেন না। অসুস্থ ও অবিবাহিত প্রৌঢ় আবন মিয়া থাকেন বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে লক্ষ্মীবাজারে তার ছোট ভাইয়ের বাসায়। বর্ণনা অনুযায়ী এক সন্ধ্যায় গেলাম লক্ষ্মীবাজারের নারিকেল গাছওয়ালা এক তলা সে বাড়িতে এবং সৌভাগ্যক্রমে আবন মিয়াকে পেলাম। সে সন্ধ্যায় আমার সঙ্গে ছিল একটি বড়সড় টেপ রেকর্ডার এবং শান্তিবাগের বন্ধু মাওলানা সাঈদুর রহমানের ছোট ভাই উঠতি যুবক শামসুর রহমান-শামসু। আহা! প্রবাসী বড় ভাইয়ের দেশে থাকা বন্ধুকে সহায়তা করার জন্য সঙ্গে আসা সেই শামসু সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাড়ির সামনেই নিহত হয় এ ঘটনার আট-নয় বছর পর।

প্রৌঢ় আবন মিয়ার সঙ্গে ঘন্টা খানেক চলে কথোপকথন। কখনও তার ইঙ্গিতে রেকর্ডার বন্ধ করি, আবার সুযোগ পেলেই চালু করি। মাঝে মাঝে তিনি চোখ মুছেন, ধরা গলায় কথা বলেন। মাঝে-মধ্যেই উদাস হয়ে যান। তার ভাষায় ‘কবি সাব’ ছিলেন একজন আল্লাহওয়ালা-দিলদরিয়া মানুষ। ‘কবি সাবে’র নাস্তাপানি খেয়েই এখন বহু কবি-লেখক বড় কবি-লেখক। তারা কবির দুর্দিনে কবিকে দেখেননি।

হাতে পেয়েই বেতনের টাকা আবন মিয়ার  হাতে তুলে দিতেন কবি। হোটেলের বকেয়া পরিশোধের পর মাসের বাজার করে ‘কবি সাবে’র সঙ্গে কবির বাসায় গিয়ে আবন মিয়া পৌঁছে দিয়ে আসতেন। গুলিস্তানের যে জায়গাটায় এখন পীর ইয়ামেনী মার্কেট তার পেছনে একটি প্রাচীন কবর ও মসজিদ ছিল। ‘কবি সাব’ কোনো কোনো রাতে সেখানে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ দোআ করতেন। পাশের মসজিদে নামায পড়তেন।

নাজিমুদ্দীন রোডের রেডিও অফিস এবং শাহবাগ যুগের রেডিও অফিসেরও নানান অজানা বিষয় নিয়ে সে সন্ধ্যায় আবন মিয়া কথা বলেছিলেন।

আবন মিয়ার সেসব কথা নিয়ে আমি কোনো প্রতিবেদন কিংবা ফিচার তখন তৈরি করতে পারিনি। লেখার উপাত্ত নিয়ে লেখা তৈরির চেষ্টার চেয়ে মুগ্ধতার ঘোরই আমাকে বেশি আবিষ্ট করে রেখেছিল। সেই ক্যাসেটগুলোও আর অক্ষত নেই আমার কাছে। ২০০৯-এ এসে আমার এখন এটাও জানা নেই-সেদিনের রুগ্ন, প্রৌঢ় ও ব্যাথাকাতর ফররুখ-ভক্ত আবন মিয়া এখন কেমন আছেন? তিনি আদৌ বেঁচে আছেন কি না? কিন্তু সেদিন কবি ফররুখের এই নিবেদিত ও ঘনিষ্ঠ সংস্রবধন্য স্বল্প শিক্ষিত সরল মানুষটির আর্দ্র ও আবেগকাতর অভিব্যক্তিতে আবারো এই প্রত্যয়ই অনুভব করেছি যে, আধুনিক বাংলা সাহিত্যে ও বাংলাদেশের বুকে একজন অনুসরণীয় তাওহীদবাদী, সৎ কবি ও মানুষের অস্তিত্বকে আমরা পেয়ে গেছি। এটি এদেশ ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি ঘটনা, আমাদের কাছে। তিনি যথার্থ অর্থেই ছিলেন আঁধার রাতের পাঞ্জেরী। রাত পোহানোর পর একটি নির্মল ভোরের জন্য হাহাকার করত তাঁর বুক। ব্যাকুল কণ্ঠে তিনি সেই  হাহাকার পাঞ্জেরীকেই জানাতেন- পাঞ্জেরীর কাছেই জানতে চাইতেন। সেই রাত পোহানোর বার্তা কি আজকের পাঞ্জেরীরাও দিবেন না?

 ফেব্রুয়ারি২০০৯-এ লেখাটি মাসিক আলকাউসারে ছাপা হয়েছিল।

পূর্ববর্তি সংবাদইরান ও লেবানন থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ফেরত আনা হচ্ছে
পরবর্তি সংবাদদুদক পরিচালককে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন ডিআইজি