উবায়দুর রহমান খান নদভী।।
“হাত-মোজা পা-মোজা পরে নাক-মুখ ঢেকে
একেবারে……..জীবন্ত টেন্ট(তাঁবু) হয়ে ঘুরে বেড়ানোর কোনো মানে হয়না!”…
প্রেস কনফারেন্সে এক ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী সাংবাদিকের আপত্তিকর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এ সাংবাদিকের ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি দাবী করছি।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর এমন হালকা কথাবার্তা আর পর্দানশীন মহিলাদের নাগরিক অধিকার এমনকি পোষাক পছন্দ করার স্বাধীনতায় অন্যায় হস্তক্ষেপের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার এ বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
মাত্র ক’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী যে ধর্মীয় রীতি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করে এলেন, এর প্রতিই কি এ সাংবাদিক ( দেশের সব ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী শ্রেণীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার বোনকে) কটাক্ষ করতে চেয়েছিল? আর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী কি তার ফাঁদে পা দিয়ে স্বাভাবিক বক্তব্য থেকে সরে গিয়ে কিছু অসংলগ্ন ও বাড়তি কথাও বলে ফেলেছেন? যার ফলে এই চক্রটি তার প্রাপ্ত প্রশংসা, সম্মান ও নবগঠিত ইমেজ মুহূর্তে ধূলায় মিশিয়ে দিতে পেরেছে।
রমজানের শবেকদর অংশে বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুকন্যা বাংলাদেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকাবস্থায় পবিত্র মক্কা মদিনার মেহমান হয়ে জীবনের অমূল্য সময়, সুযোগ ও সম্মান লাভ করে এসেছেন। তাদের আদবকেতা ও আন্তরিকতা নিয়ে নানাজন নানা মন্তব্য করলেও সরল দেশবাসী আশা করেছিল, তারা এ উসিলায় আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও হেদায়েতের পূর্ণতার পথে অগ্রসর হতে থাকুন।
মানুষের প্রত্যাশা ও দীনি শুভকামনা যখন তুঙ্গে তখনই নাস্তিকমনা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্নের উত্তর প্রধানমন্ত্রীকে এভারেস্ট শীর্ষ থেকে ছিটকে পড়ার অবস্থায় এনে দাঁড় করালো। তাদের পিতা যেসব নাস্তিক-বেঈমান থেকে জীবনভর ৫০০ হাত দূরে থেকেছেন। আল্লাহ শেখ হাসিনা কেও শয়তান দের কুমন্ত্রণা ও ষড়যন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করুন।
আশাকরি তিনি দীনদার নারী-পুরুষের মনে লাগা বেদনার উপশমে ব্যাখ্যামূলক বক্তব্য রাখবেন। ধর্মবিদ্বেষী চক্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবেন। সর্বশেষ গঠিত তার ইমেজ ও ভাবমর্যাদা পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসবেন।সর্বোপরি ধর্মীয় বিশ্বাস ও জীবনাচারের বিষয়ে তার অবস্থান বরাবরের মতোই পরিষ্কার করবেন।
-ফেইসবুক থেকে নেয়া
