ইসলাম টাইমস ডেস্ক: নরসিংদীতে এক কলেজ ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে তাঁর শরীরের ২০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে জানা যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবাররাতে ৯টায় নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটেছে।
দগ্ধ মেয়েটি নরসিংদীর বীরপুর মহল্লার ফুলন বর্মণ। সে নরসিংদীর উদয়ন কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি উর্ত্তীণ হয়।
পুলিশ ও দগ্ধ কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাতে সাড়ে ৮টার দিকে তার মামা সাথে দোকানে কেক আনতে যায়। মামা কেক কিনে দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ফুলন কেক নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় পৌছলে অজ্ঞাতনামা দুইজন দুর্বৃত্ত তার হাত মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কেরোসিন ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ফুলনের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন (বিপিএম) ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তপন মল্লিক বলেন, হঠাৎ ডাক চিৎকার শুরু হয়। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি, একটা মেয়ের শরীরে আগুন জ্বলছে। পরে একটি ভেজা চট নিয়ে তার শরীরে চাপা দিয়ে আগুন নেভানো হয়।
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধ ফুলনের কাকাতো ভাই সুমনের শ্যালক সজিব ফুলনকে পছন্দ করত। গত দুই বছর যাবৎ ফুলনকে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ফুলন এতে রাজি ছিল না। এরই প্রেক্ষিতে এ আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন বলেন, মেয়েটি কেক নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কে বা কাহারা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি কেরোসিন বোতল, দিয়াশলাই বক্স, তার শরীরের ওড়না, চুলসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছি। একই সাথে নেপথ্যের কারণ ও জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছি।
