কুরবানি বিষয়ে ৩ টি প্রশ্নোত্তর

হাজী সাহেব কি নিজের বাড়িতেও কুরবানি করবেন?

প্রশ্ন: হজ্বের সময় তো কুরবানি করা হয়। এতদসত্বেও হাজী সাহেব কি নিজের বাড়িতেও কুরবানি করবেন?

উত্তর: হজ্বের সময় যে কুরবানি করা হয় সেটা হজ্বের শুকরিয়া স্বরূপ করা হয় এবং এটি হজ্বের করণীয় আমলের অংশ। আর বাড়িতে যে কুরবানি করা হয় সেটা স্বচ্ছল হলে স্বচ্ছলতার শুকরিয়া হিসেবে করা হয়। দুটো কুরবানিই ভিন্ন। এজন্যই হজ্বের দিনগুলোতে হাজী সাহেব যদি মুকীম হন এবং কুরবানি করতে সক্ষম হন তাহলে দেশের বাড়িতেও তার কুরবানি করা আবশ্যক।

কুরবানির গোশত কখন সদকা করে দিতে হয়?

প্রশ্ন: কুরবানিদাতারা বিভিন্ন সময় নিজেদের মরহুম আত্মীয়-স্বজনদের পক্ষ থেকে কুরবানি করে থাকেন। মুসলমানরা অনেক সময় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ থেকে অথবা সাহাবায়ে কেরামের কারো কারো পক্ষ থেকে কুরবানি করে থাকেন। এসব কুরবানির গোশত কি নিজেরা খেতে পারবে? যদি খেতে পারে তবে কোনো কুরবানি কি এমন আছে যার গোশত সদকা করে দিতে হয়?

উত্তর: উপরোক্ত কুরবানির গোশত কুরবানিদাতা নিজেরা খেতে পারবে। কেননা এগুলো নফল কুরবানি। অবশ্য কেউ যদি কুরবানি করার জন্য অসিয়ত করে যায় অথবা কেউ মান্নতের কুরবানি করে সে কুরবানির গোশত গরিবদের মধ্যে সদকা করে ‍দিতে হয়।

কুরবানির দিনগুলোতে কি রোজা রাখা যায়?

প্রশ্ন: কুরবানির দিনগুলোর কোনো দিনে কি রোযা রাখতে নিষেধাজ্ঞা আছে?

উত্তর: কুরবানির ৩ দিন (১০,১১,১২ যিলহজ্ব) এবং ১৩ যিলহজ্বের দিনে রোযা রাখা মাকরূহে তাহরিমী।

মাওলানা ড. আবদুর রাজ্জাক ইস্কান্দার (জং উর্দূ থেকে)

পূর্ববর্তি সংবাদকাশ্মীরিদের পাশে দাাঁড়ানো মুসলমানদের নৈতিক দায়িত্ব: সিসিক মেয়র
পরবর্তি সংবাদকাশ্মীরের বিখ্যাত জামা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত