আবদুল্লাহ আল ফারুক ।।
সংসারের জন্যে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের আশায় আমরা যারা আমাদের স্ত্রী, বোন ও মেয়েদেরকে এমন কর্মক্ষেত্রে পাঠাই, যেখানে নারী-পুরুষ বিনা পর্দায় একসঙ্গে কাজ করছে, সেখানে গিয়ে আমার ঘরের মেয়েটি যে স্বেচ্ছায়-অনিচ্ছায় কারো শয্যাসঙ্গিনী হচ্ছে না, তার কী গ্যারান্টি!
জামালপুরের ডিসির দুর্ভাগ্য যে, তার অপকর্মের ভিডিও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। নয়তো এমন নারীলিপ্সু কামুক পুরুষ প্রতিটি সেক্টরেই আছে।
কয়েক বছর আগের ঘটনা। আমার একবন্ধু কাওরান বাজারের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যস্ত সড়কে তার গাড়িটি যখন সিগন্যালে আটক, তখন হঠাৎ পাশের কোনো এক ভবনের উঁচু তলা থেকে ব্যবহৃত কনডমের একটি ঢিলা তার গাড়ির সামনের কাঁচের ওপর আছড়ে পড়ল। বলুন, কোত্থেকে এই বর্জ্য উড়ে এলো? আমার জানামতে সড়কের দু’পাশের ভবনগুলো বাণিজ্যিক অফিস হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। কোথাও তো আবাসিক ভবন নেই।
ভাগ্যিস, আল্লাহ তাআলা আমাদের আমলনামার ভিডিও হিস্টোরি ভাইরাল করে দেননি। নয়তো কর্মক্ষেত্রে কর্মকর্তার হাতে এভাবে যৌনলিপ্সার আরো অজস্র ভিডিও সামনে চলে আসতো।
..
বলুন, সতীত্বের চেয়ে কি টাকার প্রয়োজন বেশি?
আধুনিকতা যে আমাদের ঘরের মেয়েদেরকে কর্পোরেট জগতের যৌনদাসীতে পরিণত করতে চায়, তা কি আমরা জানি?
অনেকেই বলবেন, দুর্মূল্যের এই বাজারে শুধু স্বামীর আয় দিয়ে সংসার চালানো মুশকিল। তাদেরকে আমি বলব, আজ আমরা প্রয়োজনের সংজ্ঞা ও শখের সংজ্ঞা, দুটোকে গুবলেট বানিয়ে একাকার করে ফেলেছি বলেই, আমাদের চোখে সতিত্ব ও নৈতিকতার মূল্য নেই। চারিত্রিক স্বচ্ছতা যদি আমাদের চোখে গুরুত্বপূর্ণ হতো তাহলে আর এভাবে নারীত্বের অবমাননা মেনে নিতে পারতাম না।
একবেলা না হয় অর্ধাহারে কেটে যেত। হাতের ব্যবহৃত মোবাইলটি না হয় কম দামী হতো। পরনের পোশাকটি না হয় ফুটপাত থেকে কেনা হতো। কিন্তু সংসারের বিলাসিতার বস্তুগুলো স্ত্রী, কন্যা আর বোনের চরিত্র বিকিয়ে পাওয়া অর্থ দিয়ে কেনা হতো না।
.
বি. দ্র.
সে সকল নারী কর্মজীবি আমার এই পোস্টের প্রতিপাদ্য নয় এবং তাদেরকে আমি শ্রদ্ধার চোখে দেখি, যাঁরা সংসারের হাল ধরার মতো উপার্জনসক্ষম পুরুষ না থাকার কারণে, নিতান্ত দায়ে পড়ে কর্মক্ষেত্রে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
দুআ ও চেষ্টা করি, আল্লাহ তাঁদের জন্যেও নিরাপদ ও ইসলাম-সম্মত জীবিকার ব্যবস্থা করে দিন।
লেখকের ফেইসবুক পেইজ থেকে নেওয়া