সাহিত্য: এখন বড়ো প্রয়োজন সীরাতে রাসূলের কাছে আমাদের ফিরে যাওয়া

মাওলানা ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী। বাংলা ভাষায় ইসলামী সাহিত্যের ময়দানে এক স্বপ্নচারী শক্তিমান গদ্যশিল্পী। মৌলিক, অনুবাদ ও শিশু-কিশোর সাহিত্যে তার গ্রন্থগুলো গদ্যের মিষ্টতায় যেমন উন্নীত, তেমনি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়। সীরাত সাহিত্যেও তার বিচরণ মুগ্ধকর। বাংলার পাশাপাশি তিনি কাজ করেন আরবি সাহিত্য নিয়েও।সাহিত্যের নানা বিষয়ে ইসলাম টাইমসের পক্ষে তার সামনাসামনি হয়েছেন আবু দারদা

 

ইসলাম টাইমস: কখন কীভাবে সাহিত্যের সাথে আপনার সম্পর্ক স্থাপিত হয়?  শুরুর গল্পটা কী ছিলো?

ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী: বহুত শুকরিয়া। আমার একটা সাক্ষাতকার নেবেন আপনার পত্রিকার জন্যে, এটা আমার সৌভাগ্যই বলতে হবে। তবে বিনয়ের সঙ্গেই আরজ করতে চাই- সাক্ষাতকার ছাপার মতো বড় লেখক আমি নই। হ্যাঁ, তারপরও লেখালেখি নিয়ে আমার অনেক কথা আছে, অনেক স্মৃতি আছে। অনেক বড় লেখকদের সান্নিধ্য আছে। তাঁদের হৃদয়-ধোওয়া দু’আ আছে। তাঁদের স্নেহ-প্লাবিত শুভকামনা আছে। এ-সব কিছুর উপর নির্ভর করেই কিছু কথা বলা যায়।

…… কোনো কিছুই হঠাৎ করে সৃষ্টি হয় না। সব সৃষ্টিরই থাকে একটা সূচনা কথা। বিস্তারিত বলার অবকাশ নেই, শুধু হালকা স্মৃতিচারণেই সীমাবদ্ধ থাকছি। আমার লেখালেখিরও একটা সূচনা আছে। সে সূচনার কথা বলতে গেলে চলে যেতে হবে অনেক দূরে। মানে অনেক পেছনে একেবারে ছাত্র জীবনের গোড়ায়। হিফজখানা থেকে বেরিয়ে এসে মাত্র কিতাবখায় ভর্তি হয়েছি। তখনই আমার হৃদয়ের পেলব মাটিতে লেখালেখির একটা ছোট্ট কুসুম কলি চোখ মেলতে শুরু করে। মাদরাসায় দেয়াল পত্রিকা বের হতো। পাশ দিয়ে যেতাম। পড়তাম। চলে যেতাম। যেতে যেতে ভাবতাম- আমিও এখানে লিখতে চাই। কিন্তু এ পর্যন্তই। সামনে আর আগাতে পারি না। কী লিখবো? কীভাবে লিখবো? কী দিয়ে শুরু করবো? এ সব ভাবতে ভাবতেই সময় পার হয়ে যেতো। কিন্তু লেখার চিন্তাটা বিস্ময়করভাবে মাথায় থেকে যেতো। তাই কলম- কাগজ নিয়ে বারবার বসেছি। ‘নিস্ফল’ বসা। কিছুই লিখতে পারছিলাম না। অবশেষে বড় একটা বইয়ের একটা লেখা অনুসরণ করে একটা লেখা তৈরি করতে গেলাম। কিন্তু অনুসরণ করার যোগ্যতা সে আমার কোথায়? শেষে বলা যায় এক রকম নকল করেই একটা লেখা দেয়ালিকার মাননীয় সম্পাদকের কাছে এক অলস মুহূর্তে দিয়ে এলাম। তারপর অপেক্ষার পালা। মনে মনে উত্তেজনা। হয়তো ছাপা হবে। হয়তো হবে না। ছাপা না হওয়ার হওয়ার প্রবল আশঙ্কটাই সত্য হলো। একদিন মাননীয় সম্পাদক জানতে চাইলেন- লেখাটার ইতিহাস। আমাকে লজ্জা না দিয়ে বললেন- কোথাও থেকে নিয়ে থাকলে সূত্র উল্লেখ করতে হবে, নইলে ছাপা সম্ভব হবে না। আমি মাথা নিচু করে উৎসগ্রন্থটার নাম বললাম। আর বললাম- আমার নিজের ‘কথা’ও এখানে আছে। সব শুনে সম্পাদক ‘মৃদু হেসে আমাকে বিদায় জানালেন। বুঝলাম, এ মৃদু হাসি’র আড়ালে লুকিয়ে আছে ভদ্র প্রত্যাখ্যান। মন খারাপ করে চলে এলাম।

তারপর কি একেবারে দমে গেলাম?  না, একটা চাপা জিদ ভিতরে কাজ করতে লাগলো। সে জিদ থেকেই আরেকটা লেখা তৈরি করলাম। একদিন শ্রদ্ধেয় মাওলানা ইসমাঈল বরিশালী হুজুরের কাছে সম্পাদনা করিয়ে জমাও দিলাম। লেখাটার নাম ছিলো- ‘দীপ নিভে গেলো’। লেখাটা দেয়ালিকায় ছাপা হয়েছিলো। এ-ই প্রথম লেখার স্মৃতি। এরপর সাহস একটু বেড়ে গিয়েছিলো। আদীব হুজুরের সান্নিধ্য, বরিশালী হুজুরের সান্নিধ্য সাহস যুগিয়েছিলো অনেক। আমার লেখালেখির ক্ষেত্রে তাঁদের ইহসান ভোলা যাবে না কোনোদিন।

 

ইসলাম টাইমস: নদওয়ায় পড়া নিয়ে আপনার বিশেষ কোন স্মৃতি আছে কি? আপনি তো সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.-কে দেখেছেন। এই মহান ব্যক্তিত্বের কোনো একটা মুগ্ধতার দিক নিয়ে যদি আমাদের বলতেন?

ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী: নদওয়ার স্মৃতি আছে মানে? ওখানে আমার যে স্মৃতির ভান্ডার তা এতোটাই সমৃদ্ধ যে, একজন ছোট্ট মানুষ হওয়া সত্তেও আমি এখন লিখতে বসেছি সেই স্মৃতি। শৈশব নয়, কৈশোর নয়,বাংলাদেশের টলটলে যৌবনের ছাত্রজীবনও নয়। আমি লিখতে শুরু করেছি সেই নদওয়ার .. সেই আঙিনার .. সেই শায়খ নদভীর সাথে ঘেরা স্মৃতিকথা। বিশেষ স্মৃতির কথা আলাদা করে বললে বলতে হয়, প্রথম তাঁর সাথে বসার স্মৃতি। প্রথমবার তাঁকে দেখার স্মৃতি। তখন আমার কেমন লেগেছিলো?

সত্যি! আমি বলে বোঝাতে পারবো না, শায়খ নদভীর সাথে সাক্ষাতের পর আমার অনুভূতি কেমন ছিলো? মুগ্ধ হয়েছিলাম আমি, সীমাহীন মুগ্ধ। এই মুগ্ধতা কীভাবে আমি প্রকাশ করবো? …শব্দে শব্দে মালা গেঁথে? পারবো না! সেই অবিরল শব্দবর্ষণ আমার কোথায়! অনেক বড়। অনেক উঁচু। অনেক মহান। অনেক ঝলকিত। অনেক আলোকিত। অনেক নূর-ছাওয়া, বিনয় মাখা। আমার প্রথম অনুভূতি একটাই।

তিনি যেনো মাটির পৃথিবীতে আকাশের ফেরেশতা! তিনি যেনো দুনিয়ায় থেকেও জান্নাতের বাসিন্দা! তিনি এ যুগে জন্মেছেন সেই যুগের সব গুণ নিয়ে। তিনি যেনো সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব! তিনি যেনো হাসান বসরী! একজন বলেছেন-

‘তোমারা কি সাহাবী দেখতে চাও? তাবেঈ দেখতে চাও? ইসলামের সোনালি যুগের সোনার মানুষ দেখতে চাও? … তাহলে ‘আলী মিয়া’-কে দেখো!’ আমিও বলি-

‘হ্যাঁ, সত্যি তিনি সাহাবী চরিত্রের মানুষ। তাবেঈ চরিত্রের মানুষ। সেই মহান সোনার মানুষদের অনেক গুণ এসে ভিড় করেছিলো তাঁর জীবনাচারে। কথায়। বলায়। লেখায়। উপস্থাপনায়। দরদে। জ্বলনে। নদওয়ার জীবনে তাঁকে যতো দেখেছি, ততোই এমন মনে হয়েছে।

আমি প্রতিদিন তাঁকে নতুন নতুন করে আবিষ্কার করতাম। নীরব-আনন্দে আলোড়িত হতাম। মাঝে মাঝে অদ্ভুত খেয়াল মনে এসে হাজির হতো! ইচ্ছে করতো- তাঁর কাছে গিয়ে বসি আর বলি,

‘প্রিয় নদভী! আমি শুধু আপনার কাছেই এসেছি! আমি আপনার ছাত্র হতে চাই! আপনার ছাত্র হয়েই এখানে সকাল-সন্ধ্যা কাটাতে চাই। আনুষ্ঠানিক দরস আমার ভালো লাগে না। আপনার কাছেই আমি পড়বো। শুধু আপনার কাছে! আপনার হুজরায় বসেই পড়বো। কখনো এসে যদি দেখি- আপনি দরোজা আটকে বিশ্রাম করছেন, আমি দরোজায় বসে অপেক্ষা করতে থাকবো- আপনার জেগে ওঠার। আমাকে ডেকে পাঠানোর। ডেকে না পাঠালে ওখানেই বসে থাকবো- আপনার ডাকের অপেক্ষায়।’ আহা এমন যদি হতো! যদি সত্যি গিয়ে বলতে পারতাম!

 

ইসলাম টাইমস: সীরাত গ্রন্থ পড়তে ও লিখতে কেমন লাগে? অন্যান্য স্বাভাবিক গ্রন্থ লেখার মতো নাকি অন্য রকম কোনো অনুভূতি?

ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী: অবশ্যই অন্য রকম। সীরাতে রাসূলের ভিতর প্রবেশ করলে আমার মনে হয়- আমি যেনো চলে গেছি নবীজীর পুণ্য যুগে। একেবারে কাছে আছি প্রিয় নবীজীর। হিজরতের কঠিন মুহূর্তের কথা  পড়তে পড়তে মনে হয়- আমিও যেনো ‘গারে সওর’-এর পাশে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছি- মাকড়শার জাল-বোনা আর তার গায়ে কবুতরের ডিম-পাড়া, তা দেয়া! আবু জেহেলের নেতৃত্ব কাফের-মুশরিকদের ব্যর্থ লম্ফ-ঝম্প। হযরত উমর যখন হিজরতের মুহূর্তে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন- ‘মায়ের বুক খালি করার কারো ‘সাধ’ হলে সে যেনো আমার মুখোমুখি হয় ঐ উপত্যকার পেছনে!’ তখন আমিও যেনো বলে উঠি এ-কথা- তাঁর কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে, চরম উত্তেজনাভরে।

সীরাত পড়তে পড়তে আমার আরো মনে হয়, হায়! এখনো মক্কার প্রতিকুল পরিবেশ-পরিস্থিতি আছে, কিন্তু নেই মদীনার হিজরত! এখনো আছে আবু জাহেল উমাইয়ারা, কিন্তু নেই বদর, নেই ওহুদ, নেই খন্দকের বীর লড়াকুরা, নেই কোনো প্রতিবাদ-প্রতিরোধও! কেনো এমন হলো? সীরাত পড়া আমরা কি ছেড়ে দিয়েছি? নাকি সীরাত পড়েও আমরা শিক্ষা নিতে ভুলে গিয়েছি? আমাদের মনটা কি পাথর হয়ে গেলো? না আরো শক্ত? আল্লাহর নবী কেনো মক্কা অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন? তাঁর মিত্ররা আক্রান্ত হয়েছিলো অন্যায়ভাবে- শুধু সে জন্যে! অথচ এখন আমাদের ঈমানী ভাইয়েরা আক্রান্ত হচ্ছে এখানে -ওখানে সবখানে, আমরা কিছুই করছি না। মুখের ভাষায়ও প্রতিবাদ করছি না। কলমের ভাষায়ও শান দিচ্ছি না! আর অস্ত্র হাতে তুলে নেয়া- সে তো এখন পাশ্চাত্যের ভাষায় রীতিমতো ‘সন্ত্রাস’! আমরা এখন বড়ো দুঃসময় অতিক্রম করছি। এখন বড়ো প্রয়োজন সীরাতে রাসূলের কাছে আমাদের ফিরে যাওয়া। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে সীরাতে রাসূলের আলোকে গড়ে তোলা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।

 

ইসলাম টাইমস: আরবী ওবাংলায় অনেক সাহিত্য আপনার পড়া আছে। এখনকার আমাদের সাহিত্যকে কীভাবে সমৃদ্ধ করা যেতে পারে? আপনার প্রস্তাব কী?

ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী: আল্লাহর প্রশংসা। কিছু পড়া হয়েছে। এখনও অনেক কিছুই পড়া হয় নি। সবকিছু হাতের নাগালেও পাওয়া যায় না। আমাদের সাহিত্যকে শেকড়ভিত্তিক করতে হলে আমাদেরকে মূলে ফিরে যেতে হবে। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে বিরচিত ইসলামী সাহিত্যের সুশীতল ছায়ায় গিয়ে বসতে হবে। আর এজন্যে সেতুবন্ধন রচনা করতে হবে আরবীভাষা ও সাহিত্যে সুদক্ষতা অর্জন করে। সব ধরনের আরবী সাহিত্য না। কেননা সেই আরবী ভাষা ও সাহিত্য অচল, যেখানে নেই কুরআন ও সুন্নাহর আলো ও ঝলক।

 

ইসলাম টাইমস: ইসলামী সাহিত্য ও সাধারণ সাহিত্যের মাঝে যে বিভেদ রেখা দাঁড় করানো হয় এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী: ইসলামী সাহিত্য মানে যা ইসলামের সার্বিক প্রতিনিধিত্ব করে। সুন্দরকে ‘হ্যাঁ বলে।  অসুন্দরকে ‘না’বলে। ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো মত ও বক্তব্য মেনে নেয় না। এখানেই গোল বেঁধেছে। একশ্রেণির লেখক-সাহিত্যিক মনে করেন, সাহিত্য মানেই অবাধ মুক্ত প্রকাশের বিস্তৃত বিচরণভূমি। যা বলার বলা যাবে। যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই বলা যাবে। সে সাহিত্যে ‘সাহিত্যের স্বার্থে’ নারী আসবে। যৌনতা আসবে। প্রেম-বিরহের লীলা-বর্ণনা আসবে। … কিন্তু ইসলাম এই মতাদর্শের টুটি চেপে ধরে বলে, না! সাহিত্যে অবৈধ প্রণয়লীলার যৌনদ্দীপকতা জীবাণু, স্রেফ আবিলতা! এটা থাকতে পারবে না। থাকলে তা বর্জনীয়। ত্যাজ্য। চিরনির্বাসিত।

 

ইসলাম টাইমস: সাহিত্যের সঙ্গে আদর্শের সম্পৃক্ততা কতটুকু আবশ্যক মনে করেন?

ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী: আগের প্রশ্নে উত্তর চলে এসেছে। এ সম্পৃক্ততকা অটুট-অবিচ্ছিন্ন। এ সম্পর্ক ভেঙে গেলেই সাহিত্য ভেঙে যাবে। ইসলামী সাহিত্যের নতুন উপস্থাপক সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.-এর ভাষায়- ‘সাহিত্য নষ্ট হয়ে গেলে সমাজ নষ্ট হয়ে যায়।’ বলাই বাহুল্য, সাহিত্য নষ্ট হয় উত্তম আদর্শের অনুপস্থিতিতে।

 

ইসলাম টাইমস: বর্তমানে তরুণদের সাহিত্যকর্ম ও সাহিত্যভাবনা আপনাকে কতটুকু আশান্বিত করে?

ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী: আমাদের আঙিনা ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে। অনেক নতুন মুখ এ ময়দানে সক্রিয়। প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়ে চলেছেন তারা। সুস্বাগত জানিয়ে বিনীতভাবে বলতে চাই, আদর্শের প্রশ্নে আপোসহীন থাকলে সূর্য উঠবেই। আলো ছড়াবেই। মানবতাও রক্ষা পাবে লাজঢাকা অবস্থা থেকে।

 

ইসলাম টাইমস: আধুনিক আরবী ও বাংলায় সাহিত্যের বিশুদ্ধধারা বহনকারী কয়েকজন লেখক-সাহিত্যিক সম্পর্কে কিছু বলবেন?

ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী: আপনার এই আধুনিক আরবীটা কী, তা আমার বোধগম্য নয়। আধুনিক বলতে কী বোঝাতে চান? আরবী কবে আবার সেকেলে পুরোনো ও অনাধুনিক ছিলো? আরবী জন্মের পর থেকেই আধুনিক। চিরআধুনিক। মাঝে মাঝে কিছু শব্দ ঢুকতে চায় এভাষায়। আরবী ভাষার উদার জমিন তখন এ-সব শব্দকে ‘প্রসেস’ করে ভেতরে ঢুকতে দেয়। মিশতে না চাইলে বেরও করে দেয়া হয়। আবার সে-সব হারিয়ে যায়। কিছু শব্দ আরবীর সান্নিধ্যপরশে সিক্ত হয়। টিকে যায়। গর্বিত হয়। অমরত্ব লাভ করে। চোদ্দো’শো বছরের আগের আরবীকে আপনি আধুনিক আরবী বলবেন না? তাহলে তো বিপর্যয় দেখা দেবে! কুরআন হাদীস কি সেই আগের নয়? … বিষয়টি নিয়ে বড়দের ভাবা দরকার। একটি সুষ্ঠু সমাধান সামনে আনা দরকার।

আপনার প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশে আসা যাক। বিশুদ্ধধারার লেখক আরবীতে অনেক। শায়খ আলী তানতাভী, মুস্তফা সাদিক রাফেয়ী, আহমদ হাসান আয যাইয়্যাত, আবদুর রহমান রাফাত বাশা, আলমানফালূতি, নিযার আবাযাহ। …

 

ইসলাম টাইমস: এই সময়ে যেসব তালিবে ইলম আরবী ও বাংলা সাহিত্যের প্রতি বিশেষ আগ্রহ রাখে। তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?

ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী: তালিবে ইলমের মূল কাজ ইলম তলবে গভীরভাবে মনোযোগ দেওয়া। তারপর কেউ কেউ লেখালেখির ময়দানে আসতে চাইলে এ ময়দানের একজন মুরুব্বীর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে দেয়া। তাঁর দেখানো পথে চলতে থাকা, চলতেই থাকা। নিরবচ্ছিন্ন সাধনায়। সমুদ্র তীরের শামুক দেখেই ‘পেয়েছি পেয়েছি’ বলে চিৎকার জুড়ে না দেয়া বরং ডুব দেয়া গভীর সমুদ্রে, কুড়িয়ে আনতে মণি মুক্তা, হীরা জহরত।

 

পূর্ববর্তি সংবাদক্যাসিনোর টাকার ভাগ তো অনেকেই পেত : সম্রাট
পরবর্তি সংবাদরাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে শুরু হল বেফাকের সনদ বিতরণ কার্যক্রম