“তোমরা পুরনো জিনিস আঁকড়ে ধর”

শায়খ মুহাম্মদ আওয়ামা বর্তমান বিশ্বের একজন প্রসিদ্ধ আলেম ও শ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদ। বয়স আশি ছুঁই ছুঁই। আরব বিশ্বের প্রসিদ্ধ গবেষণাধর্মী সাময়িকী ‘মাজাল্লাশ শারিয়া’ ১৪২৭হিজরীতে এই মহান ব্যক্তিত্বের একটি সাক্ষাতকার গ্রহণ করে, যাতে তার বিশাল ইলমি জীবনের অনেক দিক ওঠে আসে। সাক্ষাতকারটি অনুবাদ করেছেন মাওলানা শিহাব সাকিব। ইসলাম টাইমসের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাক্ষাতকারটির অংশ বিশেষ পাঠকবর্গের সামনে পেশ করা হল।

মাজাল্লাশ শারিয়া : আপনার নাম?

শায়খ: মোহাম্মদ আওয়ামা।

মাজাল্লাশ শারিয়া : জন্মস্থান?

 শায়খ: সিরিয়ার হালাবে।

মাজাল্লাশ শারিয়া : জন্ম তারিখ?

 শায়খ: ১৪. ১২. ১৩৫৮ হিজরী। ১. ১.১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ।

 মাজাল্লাশ শারিয়া : আপনার সন্তান কয়জন?

 শায়খ: ছয়জন।

 মাজাল্লাশ শারিয়া : স্ত্রী?

 শায়খ: একজন।

 মাজাল্লাশ শারিয়া : আপনার কয়েকজন উল্লেখযোগ্য শিক্ষক সম্পর্কে বলুন।

 শায়খ : আলহামদুলিল্লাহ, আমার শিক্ষক অনেক। ইলম অন্বেষণের ক্ষেত্রে যার ঋণ ও অনুগ্রহ আমার উপর সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন উস্তায শায়খ আব্দুল্লাহ সিরাজউদ্দিন রহ.। তিনি আলেম গবেষক এবং বাস্তব অর্থেই হাফিজুল হাদিস ছিলেন। তিনি একাধারে মুফাসসির, কালাম শাস্ত্রবিদ ও সুফি ছিলেন। তার তাসাউফ সংক্রান্ত কথাবার্তা কোরআন হাদিস নির্ভর হতো। তার অঙ্গভঙ্গির ভাষা সব সময় বলত, আমার থেকে দুইজন সাক্ষী প্রমাণ ছাড়া কোন কিছু গ্রহণ করবে না। এক. কুরআন। দুই. সুন্নাহ।

এমনই দ্বিতীয় আরেকজন ব্যক্তিত্ব শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ.। তিনি ফিকহ, উসুলে ফিকহ, হাদিস, উলুমুল হাদিস, আরবি ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছিলেনএবং এসব বিষয়ের গবেষক ও পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

তৃতীয়, যার কাছে আমার শিক্ষা জীবনের সূচনা হয়েছে। তিনি হলেন শায়খ মোহাম্মদ সালকিনি রাহ।

মাজাল্লাশ শারিয়া : আপনার বিশিষ্ট কয়েকজন ছাত্রের নাম বলুন।

শায়খ:  ৪৫ বছর যাবত অধ্যাপনার কাজে নিয়োজিত আছি। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক। আলহামদুলিল্লাহ। তন্মধ্যে বিশেষ কয়েকজন ইলমী ব্যক্তিত্বের নাম বলছি যাদের অনেক বই ও গবেষণাপত্র রয়েছে।

প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাইয়ানি, প্রফেসর,  মালিক ফায়সাল ইউনিভার্সিটি (আহসা)।  ডক্টর সাইদ বাকদাশ, প্রফেসর, ফিকহ ওউসুলুল ফিকহ অনুষদ, তায়্যিবা ইউনিভার্সিটি (মদিনা মুনাওয়ারা)। গবেষক আলেম শায়খ মাজদ আহমদ মক্কী, জেদ্দা।ডক্টর আব্দুল হাকিম আনিস, সম্পাদক, মাজাল্লা আহমদিয়া, দুবাই। ডক্টর উসামা রিফয়ি, শরয়ি বিচারপতি ও মুফতি, ত্রিপোলি ও আক্কার।

মাজাল্লাশ শারিয়া : কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন?

 শায়খ: সর্বপ্রথম প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় শাবানিয়া বিদ্যায়লয় থেকে।মাধ্যমিকে এসে শরয়ি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করি। অতঃপর দামেশ্ক ইউনিভার্সিটি থেকে শরিয়া অনুষদ সমাপ্ত করি।

সেই সময় আমি দু’মাসের জন্য মিশর সফর করি। এই সফরে আল্লাহ তাআলা বেশ কয়েকজন আলেমের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেন। তন্মধ্যে শায়খ আহমাদ সিদ্দিক আলগুমারী এবং তাঁর ভাই শায়খ আবদুল্লাহ সিদ্দিক আলগুমারী। তাদের উভয়ের বাসায় সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হই। রাহিমাহুমাল্লাহু তাআলা। তবে অল্পকিছুদিনের ভিতর আকস্মিক শায়খ আহমাদ পরলোক গমন করেন। আর শায়খ আবদুল্লাহকে আটক করে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়।

শায়খ আব্দুল্লাহ কয়েদখানা থেকে মুক্তি লাভ করার পর তার সাথে ইলমী অনেক বিষয় নিয়ে চিঠিপত্র আদান প্রদান করেছি। পরবর্তীতে যখন মদিনায় আসলেন তার সাথে উমরার সময় অনেকবারই সাক্ষাত লাভ করতে পেরেছি। আর তিনিও আমার বাসায় এসে সান্নিধ্যের ছোঁয়ায়ধন্য করেছেন।

 মাজাল্লাশ শারিয়া : আপনার কী কী সার্টিফিকেট এবং ইজাযাত রয়েছে?

শায়খ: দামেশ্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট লাভ করেছি। আর ইজাযত, প্রথমত শায়খ আহমদ আল গুমারি ও আবদুল্লাহ আল গুমারি থেকে। তারপর শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ ও শায়খ আব্দুল্লাহ সিরাজ উদ্দিন থেকে। এবং অন্য অনেকের কাছ থেকে। তন্মধ্যে অন্যতম হিন্দুস্তানের মহান ব্যক্তিত্ব হাবিবুর রহমান আজমি এবং পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম শায়খ মোহাম্মাদ আব্দুর রশীদ নোমানী ও আবুল হাসান নদভী রাহিমাহুমুল্লাহ। সুনানে আবু দাউদ এর দ্বিতীয় সংস্করণের শেষে তাদের অধিকাংশের নাম উল্লেখ করেছি। সেখানে অনুল্লেখিত কয়েকজনের নাম এখানে বলছি,সায়্যিদ মুহাম্মদ জাফর কাত্তানি রাহিমাহুল্লাহ এর ছেলে সায়্যিদ শরিফ ইদ্রিস হাফিজাহুল্লাহ, ইয়ামানের আল্লামা কাজী ইসমাইল আকওয়া হাফিযাহুল্লাহু তাআলা।

 মাজাল্লাশ শারিয়া : আপনার প্রকাশিত কিতাব কী কী?

 শায়খ: আমার প্রকাশিত প্রথম কিতাব তৃতীয় শতাব্দীর বিখ্যাত আলেম(যিনি চতুর্থ শতাব্দী কিছু অংশও পেয়েছেন) বাগিন্দি এর লেখা মুসনাদু ওমর ইবনু আবদুল আজিজ। এর একটি তাকমিলা আমি লিখেছি। আলহামদুলিল্লাহ এতে মূল কিতাব থেকেও বেশি হাদিস সন্নেবেশিত করেছি।

এর সাথে আসারুল হাদিসিশ শরীফ এর প্রথম সংস্করণও প্রকাশিত হয়। এই উভয় কিতাব প্রায় কাছাকাছি সময়ে আত্মপ্রকাশ করে।

সামআনী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর আল আনসাব প্রকাশিত হয় তখনই।এতে আমি “শিন” থেকে “কাফ” পর্যন্ত অংশের সম্পাদনার কাজ করেছি।

এরপর আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে আমি মদীনা মুনাওয়ারায় চলে আসি। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মদিনা মুনাওয়ারাতে মারকাজুল ইলমি এর গঠন এবং যাবতীয় বিষয়গুলো সুসংহত করেছি এবং হাফেয ইবনে হাজার রহমতুল্লাহি আলাইহির ইতহাফুল মাহারার কাজ শুরু করি।

এরপর নিজের ব্যক্তিগত কাজ শুরু করলাম।সেই সময় সর্ব প্রথম তাকরিবুত তাহযিব প্রকাশ করি।ইতোমধ্যে এর বেশ কয়েকটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়ে গেছে। সর্বশেষ সংস্করণ এর সাথে যুক্ত করেছি দুটি টীকা। একটি ইমাম আব্দুল্লাহ আল বাসরির, অপরটি তার বিশিষ্ট ছাত্র মোহাম্মদ আমিন মিরগানির।

এবং সিবত ইবনুল আজামির টীকাসহ হাফিয যাহাবির আল কাশিফ তাহকিক করে ছাপাই।

আল্লাহর তৌফিকে তাকরিব এবং কাশিফ হাশিয়াসহ মূল লেখকের পাণ্ডুলিপি থেকে প্রকাশ করি।তদ্রুপ সাখাবির আল কাওলুল বাদি ও মাজালিসু নাসির উদ্দিন দামেশকি লেখকের মূল পাণ্ডুলিপি থেকে প্রকাশ করি।

এরপর সুনানু আবু দাউদ তাহকিক করি। ইবনে হাজারের হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি এবং আহমাদ ইবন সুলতান সালাহুদ্দিন এর হাতের লেখা অত্যন্ত মূল্যবান প্রাচীন পাণ্ডুলিপি (এটা তিনি বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনু তাবারযাদের কাছে পাঠ করেছেন) এবং অন্য আরো কয়েকটি পাণ্ডুলিপি সামনে রেখে সুনানু আবু দাউদ সম্পাদনা করে ছাপাই।

মিন সহিহিল আহাদিস আলকুদসিয়্যা। এটি একটি মৌলিক গ্রন্থ। সম্পাদনা নয়। এতে রয়েছে ব্যাখ্যাসহ একশটি সহিহ কুদসি হাদিস। যা এক খণ্ডে মুদ্রিত হয়েছে।

আদাবুল ইখতিলাফ ফি মাসায়িলিল ইলমি ওয়াদ দীন।আসারুল হাদিসিশ শরীফ গ্রন্থটি ইখতেলাফের সাথে সম্পৃক্ত। তাই এর সাথে আদাবুল ইখতিলাফের আলোচনা যুক্ত করে দিয়েছি।প্রথম সংস্করণে এর নাম রেখেছি সাফাহাত ফি আদাবির রায়, আদাবুল ইখতিলাফ ফি মাসায়িলিল ইলমি ওয়াদ দীন। দ্বিতীয় সংস্করণে নামের প্রথম অংশ বাদ দিয়ে শুধু দ্বিতীয় অংশ বহাল রেখেছি, আদাবুল ইখতিলাফ ফি মাসায়িলিল ইলমি ওয়াদ দীন। এই গ্রন্থদুটি একটি অপরটির সম্পূরক।

মাজাল্লাশ শারিয়া : আপনার কোন কোন গ্রন্থ এখনো পাণ্ডুলিপিই রয়ে গেছে?

 শায়খ: আমি যে কাজেই হাত দিই সংকল্পবদ্ধ থাকি কাজ শেষ করার ও প্রকাশ করার। কিন্তু তিনটি গ্রন্থ এর ব্যতিক্রম রয়ে গেছে।

এক. ১৩৯১ হিজরীতে সহিহ মুসলিম এর ভূমিকা ও এর উপর নববি রাহ. এর ব্যাখ্যা এবং নববি র. এর শরহু মুসলিমের ভূমিকার উপর একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ লেখার কাজ শুরু করেছিলাম। ইমাম নববির শরহে মুসলিমসহ সহিহ মুসলিম এর পাঠদানের সাথেসাথে চলছিল এই কাজটি।১৩৯৩ হিজরীতে শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর কাছে পেশ করি।তার অনেক ভালো লাগে এবং আমাকে উৎসাহ প্রদান করেন। সাথে গ্রন্থটির একটি নামও নির্বাচন করে দেন।

দুই. দ্বিতীয় গ্রন্থটির কাজ শুরু করি ১৩৯৪ হিজরীতে। এর বিষয়বস্তু ছিল শায়খ নাসির উদ্দিন আলবানীর গোলাকৃতির স্বর্ণালঙ্কার ব্যবহার সম্পর্কে লিখিত প্রবন্ধের খণ্ডন। অর্ধেকের মত লিখে এই কাজ বন্ধ করে দিই।

তৃতীয় হল, ‘ইনতিকাদুল মুগনির’ সম্পাদনা ও টীকা। গ্রন্থটি কলেবরে ছোট, কিন্তু বড় ইলমী ও উপকারী একটি গ্রন্থ। লিখেছেন আমাদের শায়খ বিশিষ্ট গবেষক হুসামুদ্দিন কুদসি রাহিমাহুল্লাহ।এটি তিনি ইবনু বদর আল মাওসিলি রাহিমাহুল্লাহর “আল মুগনি আনিল হিফযি ওয়াল কিতাব“-এর রদে রচনা করেন। “আল মুগনি“ মিসর থেকে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি মওযু হাদিস সংক্রান্ত। এর উপর আলেমদের অনেক আপত্তি ও অভিযোগ রয়েছে।

শায়খ হুসামুদ্দিনের কাছ থেকে তার গ্রন্থের উপর টীকা ও তাহকিক করে ছাপার অনুমতি চাইলাম। তিনি সম্মতি প্রকাশ করলে ১৪০৩ হিজরীতে কাজ শুরু করি।

এক তৃতীয়াংশের কাজ করার পর তাকরিবুত তাহযিবের কাজে মনোনিবেশ করলাম।পরে আর এই কাজে হাত দিতে পারি নি।

মাজাল্লাশ শারিয়া : আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

 শায়খ: সর্বশেষ কাজ মুসান্নাফে ইবনু আবী শাইবা। যার প্রথম সংস্করণ ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, ১৪২৭ হিজরী রমজান মাসের শুরুর দিকে। যা ২৬খণ্ডে সমাপ্ত হয়েছে। মূল গ্রন্থ ২১ খণ্ডে, আর ৫ খণ্ড হল নির্ঘণ্ট। এর সাথে রয়েছে একটি বিশেষ সিডি রোম। সুনানে আবু দাউদ, যার দুটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। এর সাথেও রয়েছে বিশেষ একটি সিডি রোম।

মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা এর কাজ থেকে অবসর হওয়ার পর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছি আমার আগের কিতাবগুলোর উপর পুনঃনজর দিব। লাইব্রেরীগুলোতে এসব কিতাব এখন পাওয়া যাচ্ছে না। এসবের উপর কাজ করবো। নতুন সংস্করণ প্রকাশ করব।

শায়খ আবদুল ফাত্তাহ রাহিমাহুল্লাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ওসিয়ত হল, কোন গ্রন্থকে আপন অবস্থায় দ্বিতীয়বার প্রকাশ না করা। তিনি বলেন,

“এমন হওয়া উচিত নয় যে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রথম সংস্করণের মতই রয়ে গেল। যদি দ্বিতীয় সংস্করণ প্রথম সংস্করণ এর মতোই রয়ে যায় এর অর্থ দাঁড়াবে যে লেখক এই গ্রন্থ প্রকাশ হওয়ার পর কোনো কাজ করেননি। দ্বিতীয় সংস্করণে নতুন কিছু যোগ করা হবে, কিছু সংশোধনী থাকবে, অন্যান্য অনেক বিষয় থাকবে যা দ্বিতীয় সংস্করণে আসা উচিত প্রথম সংস্করণে ছিলনা।“

আমার প্রকাশিত কিতাবগুলোর পরিমার্জন সম্পাদনা এবং সংশোধনীর কাজ এভাবেই করে যাব। ইনশাআল্লাহ।

মাজাল্লাশ শারিয়া : একটি বিশেষ ওসিয়ত

 শায়খ: আসারুল হাদীসিশ শরীফে আমাদের পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামগণের ইলম আমল, চিন্তা-চেতনা এবং রায় ও মতাদর্শকে আঁকড়ে ধরার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমরা সব সময় পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামের মানহাজ এর উপর চলব। সমসাময়িক আলেম এবং তাদের অনুসৃত পথের দ্বারা প্রভাবিত হব না।

মনে পড়ছে, আসারুল হাদিস শরীফে সমকালীন একজন আলেম থেকে একটি কথা নকল করেছিলাম। তিনি বলেন, বর্তমান কালের আলেম-উলামাদের গবেষণায় ভালো ও সঠিক যে সব দিক রয়েছে তা আমাদের পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামেরই অবদান। আর তাদের ভুলগুলো একান্ত তাদের নিজেদেরই।এসবের কোন দরকার নেই আমাদের।

আমি পূর্ববর্তী ওলামায়ে কেরাম থেকেই সব সময় ইলম গ্রহণের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকি। আমি যখন বলব ইমাম ইরাকি বা ইবনু হাজার বলেছেন, ইমাম নববী বলেছেন,এটা আমার কথার দলিল ও সনদ হবে। কোন মাসআলায় সমসাময়িক কারো বক্তব্য উল্লেখ না করে পূর্ববর্তী আইম্মায়ে কেরামের কথা নকল করা অনেক বেশি শক্তিশালি ভিত্তি।

এর মাধ্যমে আমি পূর্ববর্তী আলেমদের পথ অনুসরণ করার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। যত প্রাচীন আলেমদের বক্তব্য নকল করবেন ততই ভাল হবে। হযরত ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,“তোমরা পুরনো জিনিস আঁকড়ে ধর।” এই যে আমরা দেখি মুহাদ্দিসীনে কেরাম আলি সনদের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। সনদ একটু নিচে নেমে গেলে তারা সেটা গ্রহণ করতে চান না। ঠিক তদ্রূপভাবে আমাদের উচিৎ অন্যান্য দীনী ইলমও যথাসম্ভব পূর্ববর্তী আলেমদের থেকে নকল করা। এটাই উত্তম পন্থা।

পূর্ববর্তি সংবাদআল-আকসায় আবারও শত শত ইহুদিবাদীর হামলা
পরবর্তি সংবাদভোলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ