মুফতি শফি রহ. : এক দুর্লভ সাক্ষাতকার (অডিও)

এনাম হাসান জুনাইদ ।।

পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম মুফতি শফী রহ. এর একটি দুর্লভ সাক্ষাতকারের অডিও শেয়ার করেছেন তার দৌহিত্র ইমরান আশরাফ উসমানী। সাক্ষাতকারের  খোলাসা নীচে পেশ করা হল। কথাগুলো মুফতি শফী রহ. এর বিভিন্ন লেখায়ও রয়েছে। তবে এখানে তার নিজের কণ্ঠ থেকে তার নিজের জীবনের শৈশব কাহিনী শোনা যায়।

: হযরত, আপনি শৈশবে কোথায় এবং কাদের কাছে পড়ালেখা করেছেন? আপনার ছোটবেলার পড়াশোনা নিয়ে কিছু বলুন।

: আল্লাহ তাআলার অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ম হচ্ছে আল্লাহ তাআলা আমাকে একটি দ্বীনদার পরিবারে পাঠিয়েছেন। এমন পরিবেশে আমি চোখ খুলেছি যেখানে সব সময় দ্বীনি কথাবার্তা কানে আসত। যেখানে শুরু থেকে শেষ দীনের চর্চা হতো। আমার শৈশবের খেলাধুলা হয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দের সীমানার ভিতরে যেখানে আসা যাওয়ার সময়ও  আল্লাহওয়ালাদের দেখা মিলত। শৈশবে আমি বুজুর্গদের ঘটনা শুনতাম।

আমার আব্বা দারুল উলুম দেওবন্দের  শিক্ষক ছিলেন। সেই সুবাদে আমি দারুল উলুম দেওবন্দে যেতাম। তার কাছে গিয়ে বসে থাকতাম। এবং দেওবন্দের হেফজ বিভাগের  এক উস্তাযের কাছে আমার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়।

আব্বার কাছে গাঙ্গুহী রহ. এর লেখা এক চিঠি নজরে পড়ে, যাতে তিনি আমার জন্মের সুসংবাদ শুনে আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং আব্বাকে আমার নাম শফী রাখার জন্য বলেছেন। পরে আরেক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমি দোয়া করছি আল্লাহ তাআলা তাকে এলেম দান করেন। আমি মনে করি, আমার শৈশবের শিক্ষা হযরত গাঙ্গুহী রহ. এর দোয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে।

তাছাড়া শৈশবে দেওবন্দের হাজী আব্দুল আজিম সাহেবের কাছে থাকার সৌভাগ্য হয়েছে কিছুদিন। তিনি এক ফেরেশতাসুলভ চরিত্রের অধিকারী মানুষ ছিলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ইন্তেকাল করেন। তারপর আমার কুরআন শিক্ষা শেষ হলে আমি নিজ পিতার কাছে ফার্সি অংক ইত্যাদি শিক্ষায় নিমগ্ন হই। পাশাপাশি আব্বার কাছেই আরবি প্রাথমিক কিতাবাদি পড়ি।

এরপর আনুমাণিক ১৩৩০ হি. সালের কথা। তখন আমার চৌদ্দ-পনের বছর বয়স। তখন আমি দারুল উলুম দেওবন্দের ভর্তি হই। এটা সেই সময়ের কথা যখন শায়খুল হিন্দ রহ. দারুল উলূমে বোখারী পড়াতেন। তখন আমার এই অবস্থা ছিল না যে আমি তার ক্লাসে নিয়মিত বসবো। তবে মাদ্রাসায় এই নিয়ম প্রচলিত ছিল, যখন শায়খুল হিন্দ বোখারি শুরু করতেন তখন সারা মাদ্রাসার সবাই একসাথে জমা হতো এবং যখন শেষ করতেন তখনও সারা মাদ্রাসার সবাই জমা হত। এভাবে আমি বুখারী শরীফের প্রথম হাদিস এবং বোখারি শরীফের শেষ হাদিস শায়খুল হিন্দের কাছে বারবার পড়ার সৌ ভাগ্য লাভ করেছি।

পূর্ববর্তি সংবাদফেলানী হত্যার ৯ বছর : এখনও বিচারের আশায় পরিবার
পরবর্তি সংবাদবিশ্বে ঢাকা শহর বাতাস দূষণের দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়