রুশ সেনাদের বোমা হামলায় শহিদ হওয়া আল বাব মসজিদ: হৃদয় বিদীর্ণ করা কিছু স্থিরচিত্র

ওলিউর রহমান ।।

প্রায় এক দশকের গৃহযুদ্ধে সিরিয়া এখন বদ্ধভূমি। মৃত্যু সিরিয়ার সবচেয়ে স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিনই দেশটিতে কোথাও না কোথাও বোমা হামলা ঘটেই থাকে। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো নিজেদের শক্তির মহড়া দেয় সিরিয়াতে।

১০ বছরে সিরিয়াতে অসংখ্য মসজিদ মাদরাসা ধ্বংস করা হয়েছে। যেখানে লাখ লাখ মানুষকে খুন করা হচ্ছে, শহরের পর শহর ধ্বংস করা হচ্ছে সেখানে মসজিদ ভাঙ্গা আদতে বড় কোনো ঘটনা নয়।

আল বাব সিরিয়ার প্রাচীন একটি মসজিদ। গত রবিবার ২ জানুয়ারি রাশিয়ান সেনাদের বিমান হামলার ঘটনায় ধ্বংস হয়ে যায়। মুসল্লিরা তখন নামায পড়ছিল। যোহর বা আছর। হঠাৎ বোমা বর্ষণের আওয়াজ শুনা যায়। কোথাও বিকট শব্দ হলে আমরা যেমন আতঙ্কিত হই তারা আল বাব মসজিদের মুসল্লিরা তেমন ভড়কে যাননি। প্রতিদিন এত ঘটনা দুর্ঘটনার পর এতদিন বেঁচে থাকাটাই তাদের কাছে বেশি আশ্চর্যের ছিল।

মৃত্যু তাদের এল। নামাযরত অবস্থায় বোমার আঘাতে তারা মারা গেলেন। তবে তারা জানতেন না কেন তাদের মারা হয়েছে। মৃত্যুর আগে তারা শুধু আন্দায করতে পেরেছিলেন, সিরিয়ায় থেকেও এতদিনে মরে না যাওয়াটাই তাদের বড় অপরাধ।

তুরস্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা আনাদুলু একটি ফটো স্টোরিতে সিরিয়ার আল বাব মসজিদের ভগ্নাবশেষে কিছু করুণ ছবি তুলে এনেছে।

১/ মেহরাবের উর লেখা আয়াতে মুমিনদের নামায পড় তে, রুকু করতে, সাজদা করতে আদেশ করা হয়েছে। তবে এই মসজিদে এখন রুকু সাজদা বন্ধ আছে।

  ২/ মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মুসল্লিদের রক্ত। এই রক্ত রোজ কিয়ামতে বহু মানুষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে।

৩/ মসজিদে রাখা কুরআন শরিফের অনেকগুলো কপিই সেদিন পুড়ে গিয়েছিল। যে পাতাগুলো পুড়া থেকে বেঁচে গিয়েছিল সেগুলোকে খুঁেজে খুঁজে বের করছেন এক সিরিয়ান।  

৪/ এই ছাদ ফুড়েই বোমা পড়ে মানুষের গায়ের উপর। বোমা হামলায় সেদিন মসজিদের আশেপাশের অন্যান্য ভবনও ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। 

পূর্ববর্তি সংবাদ‘নবীজিকে চিঠি লিখে ঘুরে এসো মদিনায়’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ৬ ফেব্রুয়ারি
পরবর্তি সংবাদইসকনকে মেলায় স্টল দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী