বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা রাজীবের অঢেল সম্পদের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গত বছর র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজীবের (৩৮) অঢেল সম্পদের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির ভাষ্য, সংঘবদ্ধভাবে চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, গরুর হাটে টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলেন রাজীব। তার এসব অপরাধের সহযোগী ছিলেন শাহ আলম হোসেন জীবন, কামাল, নুর মোহাম্মদ, রুহুল আমিনসহ আরও ১০ থেকে ১২ জন। তাদের মাধ্যমেই তার নিয়ন্ত্রণাধীন মোহাম্মদপুর বিআরটিএ বাস স্ট্যান্ড, বছিলা বাস স্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ চৌরাস্তা থেকে স্লুইচগেট পর্যন্ত রোডের দুই পাশের অবৈধ ফুটপাত, সরকারি জমির ওপর অবৈধ দোকান, টেম্পোস্ট্যান্ড, অটোরিকশা স্ট্যান্ড, ইজিবাইক স্ট্যান্ড, ট্রাক স্ট্যান্ড, পিকআপ স্ট্যান্ড ও সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন রাজীব।

অবৈধ উপায়ে অর্জিত এসব টাকা নিজ ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমার তথ্য পেয়েছে সিআইডি। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে রাজধানীর ৪টি ব্যাংকের ৪ হিসাবে ২২ কোটি ৬২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬৫ টাকা জমার তথ্য পেয়েছে সিআইডির তদন্তসংশ্লিষ্টরা। ১২ ফেব্রুয়ারি ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানায় সিআইডি বাদী হয়ে রাজীব ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা করেছে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে রাজীবের নামে ২০১৯ সালের ১ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। এ ছাড়া র‌্যাব বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর ভাটারা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনের মামলা করে। সর্বশেষ ১২ ফেব্রুয়ারি ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানায় সিআইডি বাদী হয়ে রাজীব ও তার চার সহযোগী শাহ আলম হোসেন জীবন, কামাল, নুর মোহাম্মদ ও রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করেছে। ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডের ৪০৪ নম্বর বাড়ি থেকে রাজীবকে আটক করে র‌্যাব। তিনি এখন জেলে রয়েছেন।

পূর্ববর্তি সংবাদঋতুস্রাব পরীক্ষার নামে ভারতে কলেজ হোস্টেলে হেনস্থার শিকার মেয়েরা
পরবর্তি সংবাদভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার শুনানি, বিএসএফকে নির্দোষ দাবি রাষ্ট্রপক্ষের