বি বাড়িয়ায় ‘খতমে নবুওয়াতে’র প্রথম আঞ্চলিক মহা সমাবেশে যা বললেন বক্তারা

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ঈদগাহ মাঠে আন্তর্জাতিক তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত সংগঠনের উদ্যোগে কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা, তাদের সকল প্রকার প্রচার-প্রকাশনা নিষিদ্ধ, তাদের নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত নিষিদ্ধ, পণ্য নিষিদ্ধ, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থাকা কর্মকর্তাদের বরখাস্ত, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কটূক্তিকারীদের বিচার দাবি করে আইন পাস করাসহ সাত দফা দাবি পেশ করা হয়।

সকাল থেকেই শহরে ভিড় জমাতে থাকেন মহাসমাবেশমুখী মানুষ। বেলা ১০টার মধ্যে সমাবেশ স্থল ও আশপাশ এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। সমাবেশকে ঘিরে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়ে ৩ শতাধিক পুলিশ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয়।

মহাসমাবেশের প্রধান অতিথি হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরী বলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকেই কাদিয়ান বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। কাদিয়ানিদের আহমদিয়া মুসলিম জামাত বলা হয়। তারা হলো শয়তানিয়া কাফের জামাত। কোরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে শেষ নবী না মানলে তারা কাফের। সরকারের কাছে দাবি করছি ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কাদিয়ানিদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। কে কাফের? কে মুসলমান? তা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। নির্বাচনে কে জিতবে, কে হারবে তা নিয়ে যেমন বসে থাকা যায় না। জেতার জন্য চেষ্টা করতে হয়। তেমনিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার জন্য সকলকে সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে, আমাদের দেশেও করতে হবে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইজ্জত-সম্মান রক্ষায় আমাদেরকে জীবন দিতে হবে। মহাসমাবেশে ১৭ জন কাদিয়ানি তওবা করে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে।

বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিশের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক বলেন- কাদিয়ানিরা কাফের। এ নিয়ে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই। কোরআন-হাদিস দ্বারা তা প্রমাণিত। পরিতাপ নিয়ে বলছি, ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে একজন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া দরকার। অমুসলিম মারা গেলে তার জানাজা পড়া হারাম। এটা ইসলাম স্বীকৃত। তেমনিভাবে কাদিয়ানিরা যে কাফের তা-ও প্রমাণিত সত্য। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আন্দোলন করছি। আন্দোলন নিয়ে আমরা আর ইঁদুর বিড়াল খেলতে চাই না। আমাদের আন্দোলন চলবে।

জেলার প্রবীণ আলেম ও জামেয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার সদরে মুহতামিম আশেক এলাহী ইব্রাহিমীর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, মুফতী মোবারক উল্লাহ, আল্লামা শামসুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানী প্রমুখ।

 

পূর্ববর্তি সংবাদফেনীর সোনাগাজীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত
পরবর্তি সংবাদভারতে ‘অবৈধ বাংলাদেশি বা পাকিস্তানি’র তথ্য দিলেই ৫ হাজার রুপি পুরস্কারের ঘোষণা!