ভারতে খাবার কিনতে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে মুসলিম কিশোরের মৃত্যু!

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:   ভারতের উত্তরপ্রদেশে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে বিস্কুট কিনতে বেরিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে রিজওয়ান (১৯) নামের এক মুসলিম কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, খাবার কিনতে বেরিয়ে পুলিশের অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছিল রিজওয়ানকে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার হাসপাতালে মৃত্যু হয়। ছাজ্জাপুরের কিশোরের মৃত্যুতে রাজ্য পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলছেন গ্রামবাসীরা। তবে তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশের উপর মহল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, লকডাউনের পর থেকেই খাবারের টান পরেছে। বৃহস্পতিবার রাতে খিদের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে বিস্কুট কিনতে বেরিয়েছিল আম্বেদকর নগরের ছাজপুর গ্রামের বছর উনিশের রিজওয়ান। লকডাউন ভাঙার অভিযোগ সেই সময় পুলিশ তাকে বেধরক মারধর করে বলে দাবি। প্রত্যদর্শীদের অভিযোগে, দোকানে আরও খরিদ্দাররা ছিল, কিন্তু তাদের কিছু বলেনি পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে রিজওয়ানের বাবা মুহাম্মদ ইজরায়েলি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমার ছেলে আর খিদের জ্বালা সহ্য করতে পারছিল না। বিস্কুট কিনতে বেরিয়েছিল। সেইসময় পুলিশ তাকে বেধড়ক মারধর করে। কাঁদতে কাঁদতে তার হাহাকার, করোনা নয়, পুলিশই আমার ছেলেকে কেড়ে নিল।

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, লকডাউন থাকায় পুলিশ রিজওয়ানকে বিস্কুট কিনতে দিচ্ছিল না। রিজওয়ানের কাকা মুন্নার কথায়, সেখানে আরও খরিদ্দাররা ছিলেন, তাদের পুলিশ আটকায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশ রাইফেলের বাট, লাঠি দিয়ে তাকে মারছিল। পরে কয়েকজন পুলিশকর্মী তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়।

অভিযুক্তদের রেহাই দেওয়া হবে না পলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অবিনাশ কুমার মিশ্র। তার কথায়, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এপুলিশ সুপার অলোক প্রিয়দর্শীর বলেন, তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তি সংবাদভারতে লকডাউন ভেঙে গরুর শেষকৃত্যে শত শত মানুষ!
পরবর্তি সংবাদকরোনায় আরো ৭ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩১২: স্বাস্থ্যমন্ত্রী