জাফরুল্লাহর অভিযোগ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বসে থেকেও নমুনা পাচ্ছে না গণস্বাস্থ্য

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কিট পরীক্ষা ও উৎপাদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতা করলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গণস্বাস্থ্যের প্রতিনিধি বসে থাকলেও তাদেরকে করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্তের নমুনা দেওয়া হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাকে ফোন করে করোনার কিট তৈরির অগ্রগতির কথা জানতে চাচ্ছেন। ওইসব দেশ এই কিট নিতে চায়। কিন্তু আমাদের দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা কোনো খবর রাখেন না। এমনকি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, গত সাতদিন ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ধরনা দিয়েও করোনা রোগীর রক্তের নমুনা না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে রাতে নিজেই অবহিত করি। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয় আগামীকাল (বুধবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে রক্তের নমুনাসহ সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওযা হবে।

তিনি বলেন, সাউথ আফ্রিকা, মালয়েশিয়া, কেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া এমনকি পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে আমাকে প্রতিনিয়ত ফোন করা হচ্ছে। তারা গণস্বাস্থ্য থেকে কিট নিয়ে তাদের দেশে সরবরাহ করবে।

গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশ সফল হোক এটা আমাদের দেশের কিছু মানুষ চান না। অথচ এই করোনা কিট তৈরি হলে দেশ উপকৃত হবে। স্বল্পমূল্যে ও কম সময়ে করোনাভাইরাসের টেস্ট করা যাবে।’

তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্যের ল্যাবে কিট তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী শনিবার কিট সরকারের কাছে সরবরাহ করা হবে। কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর রক্তের নমুনার দরকার ছিল।

এর আগে গত ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনের অনুমতি পাওয়ার তথ্য জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেছিলেন, সরকারের ওষুধ প্রশাসন করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে। এই কিট তৈরির কাঁচামাল আসবে ইংল্যান্ড থেকে। কাঁচামাল আসলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা উৎপাদনে যেতে পারব। দুই সপ্তাহের মধ্যে এটা বাজারে আসতে পারে।

তিনি তখন জানান, প্রথম দফায় এক লাখ কিট উৎপাদন করা হবে। ১০ লাখ টাকার কাঁচামাল লাগবে। প্রতিটি কিটের দাম হতে পারে ২০০ টাকার মতো। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উৎপাদিত সব কিট সরকারের কাছে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

পূর্ববর্তি সংবাদ‘মুসলমানদের দমন বাড়াতে করোনাকে ব্যবহার করছে ভারত’
পরবর্তি সংবাদকরোনা ভাইরাস : ভারতের ইসালাম বিদ্বেষী আচরণে এবার সরব মুসলিম ‍বিশ্ব