করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে কলকারখানায় গাইডলাইন কতটা মানা হচ্ছে

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: টানা একমাস বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকসহ বেশ কিছু কলকারখানা চালু করা শুরু হয়েছে।

ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়ার অনেক তৈরি পোশাক, ডায়িং কারখানা খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

চট্টগ্রামেও অনেক কারখানা খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এসব এলাকা মিলিয়ে এক হাজারের বেশি কারখানা খোলা হয়েছে।

কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এসব কারখানা খোলার ক্ষেত্রে কি কোন গাইডলাইন রয়েছে?

কতটা মানা হচ্ছে সেসব বিধিবিধান?

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অনেক কর্মী অভিযোগ করেছেন যে, তারা কারখানায় গিয়ে পানি পেলেও হাত ধোয়ার জন্য সাবান পাননি।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) একজন পরিচালক কোহিনুর মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলছেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতির মধ্যে সরকারিভাবে একটি গাইডলাইন দেয়ার আগেই কলকারখানা খোলা শুরু হওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন বোধ করছেন।

“আমরা শুনেছি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে তারা একটি গাইডলাইন তৈরি করেছেন। কিন্তু আমরা এখনো সেরকম কিছু দেখতে পাই। গার্মেন্টের যেসব খবর আমরা পাচ্ছি, সেখানেও দেখতে পাচ্ছি না যে, করোনাভাইরাসের বিষয়টিকে মাথায় রেখে কাজ করার, যেমন সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”

“স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন, তাদের কথা, তাদের নির্দেশনার সঙ্গে আমাদের এই বাস্তবতার কোন মিল খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা খুবই হতাশ, খুবই উদ্বিগ্ন,” তিনি বলছেন।

তবে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক  বলছেন, “সব ধরণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই আমরা কারখানা খুলতে শুরু করেছি। আমরা চাই না, কোনভাবেই আমাদের কোন কারখানায় একজন কর্মীও এই রোগে আক্রান্ত হোন।

সেজন্য আমরা একটা গাইডলাইন করেছি, সব মালিককে সেটা মানতে হবে, তারা সেটা মানছেন । এটার বাস্তবায়ন নজরদারি করার জন্য আমরা কয়েকটি কমিটি গঠন করেছি, যারা সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারি করছেন।”

“আমরা প্রাণপণে চেষ্টা করছি, যাতে কোথাও আমাদের ব্যত্যয় না হয়। রপ্তানি শিল্পের স্বার্থে আমাদের কারখানা খুলতে হবে। তবে আমরা কোনভাবেই চাইনা কর্মীরা কোনরকম সমস্যায় পড়ুক।”

অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”যেকোন অভিযোগ আমাদের জানালেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, সমাধানের ব্যবস্থা করছি। অনেক অভিযোগ সত্যি নয়। তারপরেও আমাদের হটলাইন নম্বর রয়েছে, যেকোন কর্মী আমাদের সমস্যার কথা জানালেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

বিবিসি

পূর্ববর্তি সংবাদপ্রযুক্তিবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরী মারা গেছেন
পরবর্তি সংবাদহাফেযদের উদ্দেশে : “তাহাজ্জুদে কুরআন খতমের চেষ্টা করুন”